সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের টাকায় যাদের বেতন হয় তাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা, জনগণের উপর প্রভুত্ব জাহির করা নয়। মনে রাখতে হবে, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের মালিক নয়। মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের সহযোগিতার পরিবর্তে নির্যাতন করা এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দূতাবাস কর্তৃক প্রবাসীদের উপর নির্যাতন এবং পাসপোর্ট হয়রানির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মশিউজ্জামান-ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ।
দলটির এই অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, এখনো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্বৃত্তরা পদায়িত হচ্ছে। তাদেরকে না সরাতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হবে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বন্ধ করে দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিকালেই ফেলে দিয়েছিল। বিগত ১৭ বছর প্রবাসীরা বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান বলেন, প্রবাসীদের মারধর করলো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মীরা। সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিল না এই সরকার। প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, পাসপোর্ট না পেলে তারা অবৈধ হয়ে যাবে। অথচ মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের পাসপোর্ট দিতে গড়িমসি করছে, এটা কাম্য নয়।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) কেন্দ্রীয় নেতা আরিফ বিল্লাহ, জিয়াউর রহমান, ইমাম উদ্দিন, জনজোটের আহ্বায়ক মোজাম্মেল মিয়াজী, প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন, মালয়েশিয়া প্রবাসী নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পলাশ চৌধুরী ও ঢাকা মহানগরের সিনিয়র নেতাকর্মীরা।