সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে, ভোগান্তি চরমে

3 weeks ago 16

সেতু আছে অথচ নেই সংযোগ সড়ক। বাঁশের সাঁকো বেয়ে পার হতে হয় সেতু। প্রতিনিয়ত এমনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব সোনামুখীর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পূর্ব সোনামুখী থেকে চার কিলোমিটারের একটি সড়ক ডামুড্যা উপজেলার কেওরভাঙ্গা এলাকায় মিলিত হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অন্তত ৩০টি গ্রামের লোকজন। স্থানীয়দের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সড়কটির ওপর থাকা একটি পুরোনো কালভার্ট ভেঙে ৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য গতবছরের নভেম্বরে কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। বিডিআর করপোরেশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩২ লাখ টাকা নির্মাণ চুক্তির পর কাজ শেষ হয় গত মার্চে।

সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে, ভোগান্তি চরমে

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ২৮ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে নেয়। ফলে সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারছে না কোনো যানবাহন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের।

মাদরাসাছাত্র ইয়ামিন মাদবর। প্রতিদিন মাদরাসায় যেতে হয় সেতুটি পাড়ি দিয়ে। সেতু থেকে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ইয়ামিন বলে, ‘সেতুটি বানানো হলেও গোড়ায় মাটি দেয়নি। সাঁকো পার হওয়ার সময় একদিন পড়ে গিয়ে বইখাতা সব ভিজে গেছে।’

সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে, ভোগান্তি চরমে

স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন মল্লিক বলেন, ‘আট মাস ধরে সেতুটি এভাবেই পড়ে আছে। গোড়ায় মাটি নেই। এজন্য যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। কেউ মারা গেলে নৌকায় করে ওপারে নিয়ে মাটি দিতে হয়। সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত গোড়ায় মাটি দেওয়া হোক (সংযোগ সড়ক করা হোক)।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিডিআর করপোরেশনের পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, নির্মাণ শেষে বৃষ্টির কারণে সেতুর গোড়ায় পানি জমা হওয়ায় ভরাট করা সম্ভব হয়নি। দু-একদিনের মধ্যেই ভরাট করার ব্যবস্থা করবো।

সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে, ভোগান্তি চরমে

এ বিষয়ে এলজিইডির ডামুড্যা উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা খুব শিগগির সেতুর গোড়ায় মাটি ভরাট করে চলাচলে উপযোগী করবে।

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article