সাইফ আলীকে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি? যা জানা যাচ্ছে

2 hours ago 3

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাড়িতে চুরিচেষ্টা ও হামলার অভিযোগে মুম্বাই পুলিশ একজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক। তবে এ দাবি চ্যালেঞ্জ করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবীরা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তি মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ছয় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তিনি সাইফ আলীর মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনায় সাইফ গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

তবে শেহজাদের আইনজীবী সন্দীপ শেঠানে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি নন এবং তিনি সাত বছরের বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ে পরিবারসহ বসবাস করছেন।

আইনজীবী শেঠানে আরও দাবি করেন, পুলিশের কাছে অভিযুক্তের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার কোনো উপযুক্ত নথিপত্র নেই। তিনি বলেন, পুলিশের ছয় মাস আগে ভারতে আসার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ছাড়া যথাযথ তদন্ত ছাড়াই রিমান্ড চাওয়া এবং আদেশ দেওয়া হয়েছে, যা ফৌজদারি কার্যবিধির লঙ্ঘন।

আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে মামলার নিয়ম না মানার অভিযোগ তুলেছেন। শেঠানে জানান, এফআইআরে হত্যার হুমকি বা উদ্দেশ্যের উল্লেখ নেই, অথচ ওই ধারায় মামলা হয়েছে যা আইনবিরুদ্ধ।

অভিযুক্তের আরেক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতিও বলেন, পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শেহজাদ বাংলাদেশি, তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র বা আলামত উদ্ধার হয়নি। তবুও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে পুলিশ জানিয়েছে, শেহজাদ বৃহস্পতিবার ভোরে সাইফ আলী খানের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে সাইফ আলীর ঘাড় ও মেরুদণ্ডে আঘাত লাগে।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত শেহাজাদ আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে পুলিশকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এ ঘটনায় মুম্বাইজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তদন্তের পর প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Read Entire Article