নূরনয়না
নূরনয়না, আমার দিকে তাঁকাও
আমি জ্বলে যাই, পুড়ে যাই—
তোমার মহব্বতে।
ভস্ম হই! ক্লান্তিহীন ফিনিক্স পাখি হয়ে
ডাকাডাকি করবো আবার
তাহাজ্জুদকালে।
পবিত্র নহর বয়ে দিও তুমি, তখন
মন বিদীর্ণ হোক আমার, পরিশুদ্ধ হোক
কলব। করে নিও
একান্ত মুহিব্বি তোমার।
‘কুন ফাইয়াকুন’ পূর্ণ একীনে;
অপেক্ষার দু’চোখে সুরমা লাগাই আজ!
****
ফুটিল ফুল যখন প্রথম
ছলে;
ভেসে যাই আমি
মায়াবী মোহনায়।
জলে;
ডুবে যায়
এক ফালি চাঁদ।
নীল আকাশ;
এলোমেলো কাঁপে
নদীর হাওয়ায়।
উড়াল পাখি’র
দুই পা উপরে,
বেদনায়;
ডানা ঝাপটায়
হায়, হায়!
****
রোদ্দুর মুছে যাবার শেষে
জীবনানন্দ নেই প্রিয়! দীর্ঘশ্বাস কমাতে
তোমার প্রেমে পড়েছিলাম তাই।
অথচ তোমার সাথে দেখা হবার পরে
দীর্ঘশ্বাস বেড়ে গেছে আরও বহুগুণ।
তুমিও হারিয়ে ফেললে ঢেউ;
ধানসিঁড়ি নদীর মতন?
দুঃখবোধ এখানেই! রোদ্দুর মুছে যাবার শেষে,
এখন আর নাটোরে বেড়াতে আসে না কেউ!
****
মৃত্যু মায়াবিনী
মৃত্যুকে আমি বেশ কাছে থেকে দেখেছি, কয়েকবার।
শান্ত, শুভ্র প্রেমিকার মতো ভীষণ মায়াবিনী।
ভালোবেসে আমাকে জড়িয়ে নিতে চায় বুকে অনন্তকাল।
না, ভৌতিক কোনো রূপ নেই তার,
নেই ভয়ংকর কোনো কর্কশ স্বর।
কেবল লজ্জাবতীর মতো রহস্যময়তা আছে—
কাছে আসে আবার আসে না!
তবে সে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অলৌকিক মায়ায়—
একদিন কাছে আসবেই। আলিঙ্গন হবে বিরামহীন প্রেমে!
এসইউ/জিকেএস