সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি ও তার ছেলে গ্রেফতার

সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ এবং তার ছেলে রাসেলকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনার বয়রা এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পারিবারিকভাবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকায় বসবাস করছেন অ্যাডভোকেট লতিফ। স্থানীয় সূত্র বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাবেক সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছ থেকে সুপারিশ পেয়ে তিনি পিপি হওয়ার সুযোগ পান। এরপর আদালতপাড়া, ভারতীয় গরুর খাটাল ব্যবসা ও বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। রসুলপুর এলাকায় নির্মিত পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনটির কয়েকটি ফ্ল্যাট সম্প্রতি উকিল কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করেন তিনি। আরও কিছু ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির জন্য সাতক্ষীরায় আসতে না পেরে সাব-রেজিস্ট্রারকে ৩০ লাখ টাকার ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে খুলনার বয়রা এলাকায় নিয়ে রেজিস্ট্রি করানোর উদ্যোগ নেন। দলিল লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলামকে। শুক্রবার সকালে সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক বয়রায় পৌঁছ

সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি ও তার ছেলে গ্রেফতার

সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ এবং তার ছেলে রাসেলকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনার বয়রা এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পারিবারিকভাবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকায় বসবাস করছেন অ্যাডভোকেট লতিফ।

স্থানীয় সূত্র বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাবেক সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছ থেকে সুপারিশ পেয়ে তিনি পিপি হওয়ার সুযোগ পান। এরপর আদালতপাড়া, ভারতীয় গরুর খাটাল ব্যবসা ও বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন।

রসুলপুর এলাকায় নির্মিত পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনটির কয়েকটি ফ্ল্যাট সম্প্রতি উকিল কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করেন তিনি। আরও কিছু ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির জন্য সাতক্ষীরায় আসতে না পেরে সাব-রেজিস্ট্রারকে ৩০ লাখ টাকার ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে খুলনার বয়রা এলাকায় নিয়ে রেজিস্ট্রি করানোর উদ্যোগ নেন। দলিল লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলামকে।

শুক্রবার সকালে সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক বয়রায় পৌঁছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে রাসেলকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের সাতক্ষীরায় এনে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা ও নাশকতার মামলা এবং তার ছেলে রাসেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার পর থেকে তারা খুলনায় পালিয়ে ছিলেন।

সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মো. নিজামউদ্দিন আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে ডিবি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এনএইচআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow