সামরিক আইন জারির পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর আবার তা প্রত্যাহার করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওল। তার এ সামরিক আইন জারি নিয়ে দেশটিতে নানা বিতর্ক আর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হুন পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইওন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তার জায়গায় নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সৌদিতে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চই বুং হুককে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোনীত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় চইকে মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার থেকে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
ইয়োনহাপ জানিয়েছেন, কিম প্রেসিডেন্টকে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির প্রস্তাব করেছিলেন। পরে অবশ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটের মাধ্যমে এ আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
বুধবার সকালে আদেশ আদেশ প্রত্যাহারের পর প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ দিলেন প্রেসিডেন্ট ইওন। এ ছাড়া তিনি আদেশ প্রত্যাহার করায় শত শত সৈন্য যারা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ঢুকে পড়েছিল তাদের ব্যারাকে ফেরত পাঠিয়েছেন।
এর আগে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপের বরাতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহার করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। পার্লামেন্টে ভোটে আদেশের বিষয়টি ব্লক হয়ে যাওয়ার পর তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সামনে দেশটির জনগণ উদযাপন করেছেন। অ্যাসেম্বলি ভোটে সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোটের পর তিনি আদেশ প্রত্যাহার করেন।