সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে একটি পক্ষ বিভাজনের চেষ্টা করছে

2 weeks ago 12

এদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সব জাতি, বর্ণ ও ধর্মের। কিন্তু একটি গোষ্ঠী সবসময় ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, বিভাজনের চেষ্টা করছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।

শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নগরীর ঐতিহাসিক জেএম সেন হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি।

রুমিন ফারহানা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের আবহমানকাল থেকে চলে এসেছে। এ ধরনের সম্প্রীতি বিশ্বে বিরল। বিভাজন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ চায় না। কারণ, একজন হিন্দুর উৎসবে যেমন মুসলিমরা অংশগ্রহণ করে ঠিক তেমনই একজন মুসলিমের উৎসবেও হিন্দুরা অংশগ্রহণ করে। এদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বারবার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, রুখে দিয়েছে।

তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণ মানবপ্রেম শিখিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের যখন জন্ম হয়েছিল তখন এ সমাজ অন্যায় অবিচারে পূর্ণ ছিল। সেই অন্যায় অবিচারকে দূরীভূত করতে শিশুকাল থেকে তিনি সংঘর্ষ করেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। সত্য ও অসত্যের মধ্যে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে মহাভারতের যুদ্ধে ধর্মের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দ্রোপদীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নারীদের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন।

নারীর প্রতি সম্মান জানানো ও নারীর মর্যাদা রক্ষা করা শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম একটি শিক্ষা বলে উল্লেখ করেন রুমিন ফারহানা।

জন্মাষ্টমী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে মাতৃসম্মেলন ও মহাধর্মসম্মেল শ্রীমতি ঊষা আচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধক ছিলেন কানন বালা দেবী (সন্তোষী মা), প্রধান ধর্মীয় আলোচক অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্ত্তী।

আলোচনায় আরও অংশ নেন- শিক্ষিকা মৌসুমি চৌধুরী, বৃষ্টি বৈদ্য, অশ্রু চৌধুরী, সোমা দাশ, অধ্যাপিকা অপর্না বিশ্বাস। ধর্মীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক রুপন ধর, শিক্ষক উত্তম কুমার চক্রবর্ত্তী, মাস্টার অজিত কুমার শীল, শ্রীমৎ স্বামী দীপানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী ছত্ত্বেশরানন্দ স্বরসতী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী, রননাথ ব্রহ্মচারী, শ্রীমৎ স্বামী চিন্ময়ানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী কৃষ্ণানন্দ পুরী মহারাজ।

এমআরএএইচ/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article