চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১১ সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে হত্যার দাবি সম্পূর্ণরূপে অসত্য, মনগড়া ও ভিত্তিহীন।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট-এর অনুসন্ধানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট’ করে হামলার বিষয়বস্তু করার কিংবা সাম্প্রদায়িক হিংসার কারণে ভুক্তভোগীরা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য মেলেনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাংলাফ্যাক্ট, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর সিনিয়র এনালিস্ট নাজমুন নাকিব প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান
এতে আরও বলা হয়েছে, বছরের প্রথম দুই মাসে ১১ জন সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হত্যার দাবির বিষয়ে বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধানে কোনোরূপ সত্যতা মেলেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বিষয়ে নতুন করে অভিযোগ হাজির করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গত ১২ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ‘সংখ্যালঘু-আদিবাসীদের টার্গেট করে’ মোট ৯২টি সহিংসতার ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।
প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট-এর অনুসন্ধানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট’ করে হামলার বিষয়বস্তু করার কিংবা সাম্প্রদায়িক হিংসার কারণে ভুক্তভোগীরা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য মেলেনি বলে বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়।
অনুসন্ধান টিম আরও জানায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ বাংলাফ্যাক্টকে ৩৯ পৃষ্ঠার ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তথ্যচিত্র : জানুয়ারি ২০২৫’ এবং ৪২ পৃষ্ঠার ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তথ্যচিত্র : ফেব্রুয়ারি ২০২৫’ সরবরাহ করেন। এ দুটি প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু ব্যক্তি ভুক্তভোগী হয়েছেন এমন বিভিন্ন সহিংসতা, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদির সংবাদ গড়পড়তাভাবে যুক্ত করা হয়েছে। সেসব সংবাদেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ‘প্রতিবেদনগুলোর তথ্যসূত্র, সম্পর্কিত বিভিন্ন সংবাদ, নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনদের বক্তব্য ও সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডগুলো পর্যালোচনা করেছে বাংলাফ্যাক্ট। এতে ১১টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ৩ টিতে পূর্ববিরোধিতা, ৬ টিতে চুরি ও ডাকাতি, ১ টিতে অপহরণ ও ১ টিতে অজ্ঞাতকারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কোনোটিতেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার যোগসূত্র পাওয়া যায়নি, তেমন অভিযোগও ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে করা হয়নি।’
বছরের প্রথম দুই মাসে ১১ জন সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হত্যার দাবি সম্পূর্ণরূপে অসত্য, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন।