সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে আইইআর শিক্ষার্থীদের সমাবেশ

3 months ago 46

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ভিসির বাসভবনের সামনে সমাবেশ করেছে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘নিরাপদ ঢাবি চাই’, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই’ সহ নানা ফেস্টুন লেখা দেখতে পাওয়া যায়।

সমাবেশে সাম্যের সহপাঠী বলেন, এমন ঘটনা যেন আর কারোর সঙ্গে না ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। বারবার ভিসির বাসভবনের সামনে এভাবে দাঁড়াতে চাই না।

২৫তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী শাহেদুর রহমান বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে নবীনবরণ শেষ করে আমরা ছয় বন্ধু ভিসি চত্বরে বসে ছিলাম। সাম্যের শেষ কথা ছিল, দুই মিনিট দাঁড়া আমি আসছি। তারপর আমি তাকে আর আসতে দেখিনি, আমরা তার লাশ দেখেছি।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষফোড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেখানে রয়েছে অনেক অবৈধ দোকান, সবসময় বাইরের মানুষের আড্ডা চলে। উদ্যানে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। আমরা আর কোনো সাম্যের মৃত্যু চায় না। স্থায়ী সমাধান চাই।

সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে আইইআর শিক্ষার্থীদের সমাবেশ

একই ব্যাচের নারী শিক্ষার্থী লাশের রাজনীতি বন্ধের দাবি করে বলেন, সাম্যের লাশ নিয়ে যে দলীয় বিভাজন আপনারা করছেন তা করবেন না। এমন করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি হবে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি (২৫) ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে (২৫) নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শাহবাগ থানার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালিমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের কাছে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে এস. এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের কিল, ঘুসি ও ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে। পরে আসামিদের মধ্য থেকে একজন আসামি শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ডান রানের পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে।

পরে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এফএআর/এমআরএম/এএসএম

Read Entire Article