সারারাত ঘুমায়নি, ভোরে কেন্দ্রে এসেছি, জীবনে প্রথম ভোট দিলাম

7 hours ago 3

‘সারারাত তো ঘুমাইনি আমি। সকালে হল থেকে বের হয়েছি ভোরে। ভোটকেন্দ্রের দিকে এসেছি সোয়া ৭টার দিকে। আমার রুমমেট, হলমেটদের সঙ্গে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছি। ভোট দিয়েছি।’

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ‘রোমাঞ্চিত’ শিক্ষার্থীরা। তাদেরই একজন মো. আশিকুল ইসলাম। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন স্যার এফ রহমান হলে। তার ভোটকেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। ভোট দেওয়ার পর কথা হয় তার সঙ্গে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনেট ভবন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, লাইনে সবার সামনে আশিকুল ইসলাম। তিনি ভোটও দিয়েছেন সবার আগে। উচ্ছ্বসিত আশিকুলের ভাষ্য, ‘আমি কাল সারারাত ঘুমাইনি। ভোরের দিকে কেন্দ্রে চলে এসেছি। সবার আগে দাঁড়িয়েছি। জীবনের প্রথম ভোট দিলাম। খুব আনন্দিত।’

প্রতি বছর ডাকসু নির্বাচন হোক এটাই প্রত্যাশা আশিকুলের। তিনি বলেন, ‘এবারের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমি প্রত্যাশা করবো যে, ডাকসুতে এমন নির্বাচন যেন আমরা প্রত্যেক বছর আয়োজন করতে পারি।’

আশিকুল বলেন, ‘ডাকসু যেন কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায়নের পন্থা না হয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য যেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভোট দিচ্ছি। সবাই ভোট দিতে আসুন। যারা যোগ্য তাদের ভোট দিন। আমাদের অবহেলার কারণে যদি কোনো অযোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যায়, তাহলে সেই দায় আমাদেরই নিতে হবে।’

ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকসুতে প্রথম ভোট, আসলে এটা জীবনেরও প্রথম ভোট। খুব ভালো লাগছে। ডাকসুতে ভোট দিতে পারবো, এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। একবছর আগেও যদি কেউ আমাকে বলতো তাহলে আমি বিশ্বাস করতাম না যে ডাকসু হবে। কিন্তু হচ্ছে; এতে খুবই আনন্দিত আমি।’

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবার উচ্ছ্বাসের কমতি নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের। প্রচার-প্রচারণার সময়ও দেখা গেছে সেই চিত্র। ভোটের দিনে সেই উচ্ছ্বাস আরও বেড়েছে। ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীরা এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে দিচ্ছেন ভোট।

এএএইচ/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article