একটি কথা বলিউডে প্রচলিত রয়েছে- ‘সালমান খানের হাত মাথায় থাকলে সাফল্য মেলে, আবার তার বিরাগভাজন হলে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।’
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে স্বজনপোষণ নিয়ে সালমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ‘দাবাং’ সিনেমার নির্মাতা অভিনব কাশ্যপ। অভিযোগ তোলেন, তার কর্মজীবন নষ্ট করার চেষ্টা করেন ‘খান ব্রাদার্স’। আবার একই মানুষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অনুরাগ কাশ্যপের ভাই।
‘দাবাং’ সিনেমার সময় থেকেই নাকি নির্মাতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন সালমান খান। অভিনয়ে নাকি কখনোই মন ছিল না তার। নির্মাতার অভিযোগ, সব সময় তারকাসুলভ হাবভাব ছিল ভাইজানের। অভিনবের বিস্ফোরক দাবি, সালমানের ব্যবহার নাকি একেবারে ‘গুন্ডা-মস্তান’দের মতো। শুধু সালমান নন, তার পুরো পরিবার বিগত ৫০ বছর ধরে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। পরিচালকের অভিযোগ, বাড়িতে বসে পুরো ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করার চেষ্টা করেন তারা।
অভিনবের ভাষ্য, ‘তাদের পুরো পরিবার প্রতিহিংসাপরায়ণ। আমি তাদের কথা না শুনলে তারা টিকতে দেবেন না। ‘দাবাং’ করার আগে বুঝিনি যে, সালমান খান এতটা নোংরা মানুষ।’ অভিনব এর আগেও একাধিকবার এমন অভিযোগ এনেছেন। যদিও তার ভাই অনুরাগই এই প্রসঙ্গে দাদার পাশে দাঁড়াননি। ‘দাবাং’র পর শুধু ‘বেশরম’ নামে একটি সিনেমা তৈরি করেন অভিনব। শোনা যায় ইন্ডাস্ট্রিতে কারও সঙ্গেই নাকি তার ভালো সম্পর্ক নেই।
এমএমএফ/জিকেএস