সিঙ্গাপুর থেকে আসবে এক কার্গো এলএনজি, ব্যয় ৫৮৬ কোটি টাকা

দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুর থেকে ১ কার্গো এলএনজি আমদানি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৫৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ টাকায় এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ নির্বচন কমিশনের জন্য ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকার ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

• মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি চুক্তি নিয়ে বিবৃতি বিডার
• যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা থেকে ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ৭টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট মিলিটেড থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.২২৮০ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ টাকা।

এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘আইিডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং সার্ভিসেস (আইডইএ) (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে অর্পিত ক্রয় কার্য পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্লাংক কার্ড ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকা।

এমএএস/এমআইএইচএস/এমএস