চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু এলাকার চাঞ্চল্যকর তুষার আহমেদ সবুজ হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ সাংবাদিকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানান।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি-৩) মেহেরপুর ক্যাম্প ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই দুই ঘাতককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. সাহাদ আলীর ছেলে মো. সাগর আহমেদ (২০) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ইউসুফ হোসেনের ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম (৪৫)।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ বলেন, ১৩ নভেম্বর, র্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ড ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের যৌথ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকা থেকে মো. সাগর আহমেদকে গ্রেফতার করে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তিতে অপর আসামি জহুরুল ইসলামকে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের সরকারি খাদ্য গুদাম গেইটের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের গজারিয়া মাঠে বিপুলের মেহগনি বাগানের মধ্যে মোটরসাইকেলসহ তুষার আহমেদ সবুজ (২৩) নামের এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত তুষার আহমেদ সবুজ আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের ফকিরপাড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সবুজ মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতেন।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ বলেন, ধৃত দুই আসামি ও নিহত সবুজ দীর্ঘদিন থেকে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি সাগর ও অন্য আসামি জহুরুল ইসলাম টাকার জন্য সবুজকে বাইক বেচা-কেনা এবং সিদ্ধি খাওয়ার কথা বলে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। পূর্বপরিকল্পিতভাবে সবুজকে হত্যা করে তার কাছে থাকা টাকা হাতিয়ে নেন। পরে আলামত ধবংসের জন্য মোটরসাইকেলসহ জ্বালিয়ে দেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
হুসাইন মালিক/এফএ/এএসএম