রায়ান রেনল্ডস সম্প্রতি মার্ভেলের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ এ অভিনয়ের চমক দেখিয়েছেন। তিনি এখানে অ্যান্টিহিরো ডেডপুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় দর্শকের মন জয় করেছে। আর ছবিটিও মুক্তির পর বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
ভ্যারাইটি অনুসারে, অভিনেতা এখন নতুন সুপারহিরো হয়ে পর্দায় আসতে পরিকল্পনা করেছেন। প্যারামাউন্ট অ্যানিমেশন রেনল্ডসের প্রোডাকশন কোম্পানি ম্যাক্সিমাম এফোর্ট প্রোডাকশনসকে নতুন একটি সুপারহিরো চরিত্রকে বড় পর্দায় আনার জন্য নিয়োগ করেছে। সেই চরিত্রটি হচ্ছে মাইটি মাউস।
সেই ১৯৪২ সালে ‘দ্য মাউস অব টুমোরো’ নামে একটি শর্ট ফিল্মে সর্বপ্রথম মাইটি মাউসকে দেখা যায়। এরপর ১৯৫০ ও ৬০ এর দশকে মাইটি মাউস প্লেহাউস টিভি শোতে প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠে। এই চরিত্রটি ২০’শ শতকের শেষের দিকে ‘দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার্স অফ মাইটি মাউস’ নামক একটি শোতে আবার ফিরে আসে।
প্যারামাউন্ট অ্যানিমেশন এখন এই কার্টুন চরিত্রটিতে চলচ্চিত্রে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য দায়িত্ব পেয়েছেন রায়ান রেনল্ডস। তিনি সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার কাজও শুরু করেছেন। তার সঙ্গে এই কাজে যুক্ত থাকবেন ‘ফ্রি গাই’ সিনেমার লেখক ম্যাট লাইবারম্যান।
তবে এখন পর্যন্ত সিনেমাটিতে মাইটি মাউস চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা নিশ্চিত করা হয়নি। কবে নাগাদ এর নির্মাণকাজ শুরু হবে সে বিষয়েও কোনো ঘোষণা আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে রায়ান নিজেই এই জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করবেন। আবার কেউ মনে করছেন ‘ডেডপুল’ সিনেমার পরবর্তী কিস্তিতে আগমন ঘটবে মাইটি মাউসের। সেক্ষেত্রে রেনল্ডস নন, অন্য কাউকে দেখা যাবে চরিত্রটিতে।
রেনল্ডস সিনেমাটি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। ভ্যারাইটির সঙ্গে আভাস দিয়েছেন সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত থাকছেন তিনি। রেনল্ডস বলেন, ‘আমি নতুন বছরটা লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকব। একটি সিনেমা লিখছি, যেখানে আমি, হিউ জ্যাকম্যান এবং শন লেভি একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু এটি মার্ভেলের সিনেমা নয়। আরও কিছু কাজ থাকবে যা আমাকে আনন্দ দেবে।’
এদিকে অভিনেতাকে সম্প্রতি ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ সিনেমার মাধ্যমে ডেডপুল ফিরে আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কিছু লুকাতে চাই না। তবে নিশ্চিত কোনো তথ্যও আমার কাছে নেই। দেখাই যাক না কী হয়’।
‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ চলচ্চিত্রটি ২০২৬ সালের মে মাসে মুক্তি পাবে।
এলএ/এমএস