মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতময় পরিস্তিতির মধ্যে নতুন করে আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে সভ্যতার দোলনা খ্যাত সিরিয়া। গেল ২৭ নভেম্বর কয়েকটি শহরে নতুন করে বড় ধরনের হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এরপর দ্রুতগতিতে উত্তরাঞ্চলীয় সিরিয়ার বড় অংশ নিজেদের দখলে নেয় তারা। বিশেষ করে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহ্ত্তম শহর আলেপ্পো এখন কার্যত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
বিদ্রোহীদের ঠেকাতে বিমান হামলা শুরু করে বাশার আসাদ সরকার ও রাশিয়ার বিমানবাহিনী। আলেপ্পোসহ বিভিন্ন এলাকায় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। জানা যায়, সিরিয়া সরকারের অনুরোধে এবং নিরাপত্তা পরিষদে আফ্রিকার ৩টি সদস্য দেশ মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন এবং আলজেরিয়ার সমর্থনে এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা জানানো হয়, বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যে আলেপ্পো শহর নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে। এখন ইদলিব প্রদেশ দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের প্রতিহত করতে সিরিয়া ও রাশিয়ার সম্মিলিতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সেনাদের পাল্টা হামলায় কিছু কিছু এলাকা থেকে পিছু হটছে বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার কড়া জবাব দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের ভাষা সহিংসতা। বিদ্রোহীদের তাদের ভাষায়ই জবাব দেওয়া হবে।’
এদিকে এক সম্মিলিত বিবৃতিতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।