ভারতে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেলেন মেয়ে। বাংলাদেশে বসবাসরত মেয়েকে এই সুযোগ করে দেয় বিজিবি ও বিএসএফ।
মানবিক এ উদ্যোগ সীমান্তে দুই দেশের সম্পর্ক ও মানবিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এলাকাবাসী।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের নদিয়া জেলার গোংরা গ্রামে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান লোজিনা বেগম (৮০)। তিনি ওই গ্রামের ফকির চানের স্ত্রী। তবে লোজিনা বেগমের দুই মেয়ে বহু বছর ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। যাদের মধ্যে একজন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়পুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে সীমান্তে এসে শেষবারের মতো মরদেহ দেখার অনুরোধ জানান ওই মেয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবি এবং বিএসএফ যৌথভাবে একটি মানবিক উদ্যোগ নেয়।

তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ৯৬/৮-এস এর শূন্যরেখায় উপস্থিত স্বজনদের সামনে মৃত লোজিনা বেগমের মরদেহ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ কার্যক্রম শেষ হয়।
বিজিবি জানায়, লোজিনা বেগম জন্মসূত্রে বাংলাদেশের হলেও স্বামীর সঙ্গে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ২ জুন রাতে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে চার ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান বলেন, সীমান্তে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে বিজিবি সবসময় আন্তরিক। এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে এবং সীমান্ত অপরাধ রোধেও সহায়ক হবে।
হুসাইন মালিক/জেডএইচ/এমএস

4 months ago
12









English (US) ·