ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সুপার ওভারের চতুর্থ বলে দাসুন শানাকা রানআউট হয়েও বেঁচে যান। ক্রিকেটের নিয়মই তাকে বাঁচিয়ে দেয়, যা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বোঝান আম্পায়ারেরা। যেখানে ছিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল।
এবার সুপার ওভারের এই নাটক নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীলঙ্কার হেড কোচ সনাথ জয়সুরিয়া। তার মতে, ক্রিকেটের নিয়মগুলো আরও স্বচ্ছ এবং সরল হওয়া প্রয়োজন। না হলে বিভ্রান্তি থাকবেই। অযথা বিতর্ক তৈরি হবে।
শানাকা কেন আউট নন, তা প্রথমে বুঝতে পারেননি সূর্যকুমারেরা। তার জন্য ভারতীয় দলকে অবশ্য দোষ দেননি জয়সুরিয়া। বিভ্রান্তির জন্য তিনি নিয়মের জটিলতাকেই দায়ী করেছেন।
শ্রীলঙ্কার কোচ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ীই পুরো ব্যাপারটা হয়েছে। শানাকার বিরুদ্ধে প্রথমে ক্যাচ আউটের আবেদন করা হয়েছিল। সেটাই বিবেচ্য হবে। তাই তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দ্বিতীয় আউটের আবেদনের সুযোগ নেই। সেটা বিবেচ্যও হয় না। ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যেগুলো খুব স্বচ্ছ নয়। সংশ্লিষ্টদের দেখা উচিত, বিষয়গুলি যেন সংশোধন করা হয়।’
ঠিক কী ঘটেছিল?
সুপার ওভারে চতুর্থ বলটি অফস্টাম্পের বাইরে ইয়র্কার করেন অর্শদিপ সিং। শানাকা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনের হাতে। ক্যাচ আউটের আবেদন করেন অর্শদিপ। মাঠের আম্পায়ার আউট দেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে শানাকারা রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন। তা দেখে সঞ্জু আবার তাকে রানআউট করার চেষ্টা করেন। বল ছুড়ে উইকেট ভেঙেও দেন। হিসাবমতো ক্যাচ আউট না হলেও রানআউট হওয়ার কথা ছিল শানাকার।
এর পরই শুরু হয় নাটক। তৃতীয় আম্পায়ার জানান, শানাকা ক্যাচ আউট হননি। কারণ তার ব্যাটে বল লাগেইনি। কিন্তু এর পর রানআউটও দেওয়া হয়নি শনাকাকে। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ভারতীয় দল।
ক্রিকেটের নিয়মের ২০.১.১.৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, শানাকা আউট ছিলেন না। কারণ আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বল ডেড হয়ে যায়। আর ডেড বলে কোনও আউট হয় না। সেইমতো আম্পায়ার শানাকাকে ক্যাচ আউট দেওয়ার পরই বল ডেড হয়ে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে রানআউট প্রযোজ্য নয়।
এমএমআর/এএসএম