ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী। তাকে সম্মান জানিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ কয়েকটি প্যানেল ওই পদে প্রার্থী দেয়নি। এবার তন্বীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাহার। তিনি শামসুন নাহার হলের ২০২১-২২ সেশনের আবাসিক শিক্ষার্থী।
জান্নাতুন নাহার কালবেলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া প্রতিটি অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। পাশাপাশি যুক্ত থেকেছি নানা গবেষণা কর্মে। যেহেতু আমার পড়াশোনার বিষয় গবেষণা-সংশ্লিষ্ট, তাই শুরু থেকেই দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। বাজেটের ঘাটতি, সময়ের অভাব, উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়া। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সঠিক যোগাযোগের অভাবই এর প্রধান কারণ। বড় বড় সংস্থাগুলো গবেষণায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করলেও আমরা সঠিক দিকনির্দেশনা ও যোগাযোগের অভাবে তা কাজে লাগাতে পারি না। তাই এবার সুযোগ পেয়েছি বলে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। জয়ী হতে পারলে শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ না পেয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে এবং সেখানে নিজেদের মেধা কাজে লাগাচ্ছে। আমি যদি গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হই, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’
জান্নাতুন নাহার আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে জীবন হাতে নিয়ে আন্দোলন করেছি। পরবর্তীতে বাংলাদেশে ন্যূনতম অবদান রাখতেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমার পাশে থাকবেন। আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে অতিক্রম করব।’