সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে শতাধিক দোকান

5 hours ago 4

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রাকৃতিক বালিয়াড়ি একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে। সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে শতাধিক অস্থায়ী অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে জাকির, শুক্কুর, সেলিমসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে দোকান বসানো হয়। কাঠের ফ্রেম ও লাল টিনে তৈরি এসব দোকানের নিচে রয়েছে রাবারের চাকা। অসাধু দখলবাজ চক্রটি নিজেদের ঝিনুক বিক্রেতা পরিচয় দিলেও প্রশাসনের অনুমতি দেখিয়ে দখল বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

কক্সবাজার সৈকত প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হওয়ায় আদালতের রায় অনুযায়ী এখানে কোনো স্থাপনা তোলা নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় এখন বালিয়াড়িই দখলের শিকার। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী মিলিয়ে ২০০-র বেশি স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। এ ধরনের অনুমতিপত্র কখন, কীভাবে দেওয়া হয়েছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। কারা এ স্থাপনা নির্মাণ করছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অনুমতিপত্র বাতিল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বালিয়াড়িতে কোনো স্থাপনা নির্মাণের আইনগত সুযোগ নেই। পরিবেশ ধ্বংস করে সৈকতে ব্যবসা করার অনুমতি কারও নেই। খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে এসব দোকান সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নামানো হবে।

Read Entire Article