‘সোডা অ্যাশ’ বলে আমদানি করা ৬০ টন নিষিদ্ধ ঘনচিনি জব্দ

3 hours ago 8

চট্টগ্রামের কাট্টলী এলাকার গোল্ডেন কনটেইনার লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি ডিপো থেকে ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি ঘনচিনি জব্দ করেছেন কাস্টমস ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। মিথ্যা ঘোষণায় ‘সোডা অ্যাশ’ নামের রাসায়নিক পদার্থের নাম দিয়ে এ ঘনচিনি আমদানি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় কাস্টমস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির জাগো নিউজকে বলেন, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ। চালানটির খালাস স্থগিত করে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর চালানটি জব্দ করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় এসব ঘনচিনি আমদানির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কাস্টমস জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকার মতিঝিল এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এইচ পি ইন্টারন্যাশনালের সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে তিন কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। গত ১৬ আগস্ট এসব কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পরবর্তীতে খালাসের জন্য নিয়ম মোতাবেক কনটেইনারগুলো উত্তর কাট্টলী এলাকার বেসরকারি গোল্ডেন কনটেইনার ডিপোতে নেয়া হয়।

পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ চালানটির খালাস স্থগিত করে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, ডিপো কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কনটেইনারগুলোর কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো প্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ও কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের ল্যাবে পৃথক পৃথকভাবে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়। তিন ল্যাবের পৃথক পরীক্ষাতেই নমুনাগুলো সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত হয়। পণ্য চালানটির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা এবং প্রযোজ্য শুল্ক-করহার ৬১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনি চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। সাধারণত মিষ্টান্ন, বেভারেজ আইটেম, জুস, চকলেট, কনফেকশনারি এবং অন্যান্য খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম মিষ্টিকারক হিসেবে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে ব্যাপক ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জনস্বাস্থ্যের জন্য এটি মারাত্মক ক্ষতিকর, যা ক্যানসার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। এ কারণে আমদানিনীতি আদেশে ঘনচিনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এমডিআইএইচ/এমএএইচ/

Read Entire Article