স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন মওলানা ভাসানী : রাশেদ প্রধান
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম উপলব্ধি করে ভূমিকা রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওলানা ভাসানীর স্মরণে রাশেদ প্রধান বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার সারাটা জীবন দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম উপলব্ধি করে ভূমিকা রেখেছিলেন ভাসানী। দলীয় স্বার্থে ‘ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা বাংলার মাটি থেকে ভাসানীর নাম-নিশানা মুছে ফেলার জন্য হাজারো চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আজ বাংলার তৌহিদী জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের সকল নাম-নিশানা-মূর্তি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এবং সম্মানের সাথে স্মরণ করছে মওলানা ভাসানীকে। স্পষ্ট ভাষায় সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মুজিব নয়, মওলানা ভাসানী।
তিনি বলেন, দূরদর্শী নেতা মওলানা ভাসানী আমাদের উপলব্ধি করিয়েছিলেন ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসান রুখে দিতে হবে। পিন্ডির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে, দিল্লির গোলামী করার জন্য নয়। প্রকৃত স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের যুদ্ধ আজও চলছে। ভাসানীর আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে।
জাগপার এই মুখপাত্র বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হবার প্রাক্কালে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তান শেখ মুজিবের কোনো ক্ষতি করেনি, যুদ্ধ শেষে সুরক্ষিত অবস্থায় স্বাধীন বাংলায় ফেরত দিয়েছিল। যুদ্ধ চলাকালীন ৯ মাস বাংলার মাটিতে বসে শেখ পরিবার পাকিস্তানের মাসিক ভাতা নিয়েছেন। তাই পাকিস্তান শেখ হাসিনার জন্য নিরাপদ জায়গা। উন্নত দেশগুলো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি নয়। কূটনৈতিক পাসপোর্টে ৪৫ দিন ভারতে থাকার মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার উচিত হবে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাকিস্তান সরকারের দ্বারস্থ হওয়া।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, মো. হাসমত উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রওশন আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, মনোয়ার হোসেন, দিদার হোসেন, মো. বাবুল, জনি নন্দী, পাবেল সরকার, মো. হাসান, আল আমিন প্রমুখ।