স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া, ১৫ দিন পর মিললো নারীর মরদেহ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে ফাহিমা (২৪) আক্তার নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘আলীশান’ নামের একটি আবাসিক হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে স্বামী পরিচয় দেওয়া আরিফকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর থেকে আরিফ হোসেন ও ফাহিমা আক্তার নামের ওই দুই পর্যটক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা হোটেলে থাকছিলেন। হঠাৎ বুধবার রাতে বাইরে থেকে রুমটি তালাবদ্ধ দেখে এবং ওই দুজনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয় কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভেতর থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ নামায়। হোটেলের ডায়রিতে দেখা যায়, অবস্থানকারী আরিফ তার ঠিকানায় উল্লেখ করেছেন- তিনি পটুয়াখালী জেলার আওতাধীন পটুয়াখালী থানার পুকুরজানা এলাকার ধনখালীর শহিদুল ইসলামের ছেলে। তবে নিহত ওই নারীর কোনো ঠিকানা উল্লেখ নেই। ওই হোটেলের মালিক শহীদ হোসেন বলেন, আমি তাদের কাছে রুম ভাড়া দিয়েছি প্রথমে তিনদিনের জন্য। পরে সেটা তারা মাসিক চুক্তিতে নেয়। তারা ২ তারিখ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে ফাহিমা (২৪) আক্তার নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘আলীশান’ নামের একটি আবাসিক হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে স্বামী পরিচয় দেওয়া আরিফকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর থেকে আরিফ হোসেন ও ফাহিমা আক্তার নামের ওই দুই পর্যটক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা হোটেলে থাকছিলেন। হঠাৎ বুধবার রাতে বাইরে থেকে রুমটি তালাবদ্ধ দেখে এবং ওই দুজনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয় কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভেতর থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ নামায়।
হোটেলের ডায়রিতে দেখা যায়, অবস্থানকারী আরিফ তার ঠিকানায় উল্লেখ করেছেন- তিনি পটুয়াখালী জেলার আওতাধীন পটুয়াখালী থানার পুকুরজানা এলাকার ধনখালীর শহিদুল ইসলামের ছেলে। তবে নিহত ওই নারীর কোনো ঠিকানা উল্লেখ নেই।
ওই হোটেলের মালিক শহীদ হোসেন বলেন, আমি তাদের কাছে রুম ভাড়া দিয়েছি প্রথমে তিনদিনের জন্য। পরে সেটা তারা মাসিক চুক্তিতে নেয়। তারা ২ তারিখ থেকে আমার হোটেলে অবস্থান করছিল। এতদিন কোনো ধরনের ঝামেলা হতে দেখিনি। গতকাল বিকেল থেকে রুম তালাবদ্ধ দেখি এবং অনেক রাত পর্যন্ত কোনো খবর না পেয়ে রুমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ওই নারীর মরদেহ ঝুলছে। এসময় তার স্বামী আরিফ সেখানে ছিলেন না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পুলিশকে জানাই।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তাদের কাবিননামা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সঠিক তদন্তের স্বার্থে আমরা সেটি গোপন রাখছি। ওই কাবিননামা ও পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এমএস
What's Your Reaction?