স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

1 hour ago 3

নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিকটবর্তী প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সোহানা শিকদার মূলত গাইনী অ্যান্ড অবস বিষয়ে ডিজিও ও এফসিপিএস ডিগ্রিধারী। জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী অ্যান্ড অবস পদ খালি থাকা সত্ত্বেও তিনি প্যাথলজি বিভাগে পোস্টিং নিয়েছেন।

অভিযোগকারীর দাবি, গাইনী বিভাগে পদায়ন হলে তাকে রোগী দেখা ও অপারেশনে অংশ নিতে হতো, যা তিনি এড়াতে চান।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত এক বছর ধরে তিনি নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়মিত আসেননি। এক ভুক্তভোগী রোগী সালমা আক্তারের দাবি, তিনি এক সপ্তাহ ধরে বহির্বিভাগের টিকিট কেটে হাসপাতালে খুঁজেও ডা. সোহানাকে পাননি। পরে জানা যায়, তিনি হাসপাতালের পাশে মেট্রো হাসপাতালে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোগী দেখা ও অপারেশন করেন। সেখানে গিয়ে ৮০০ টাকা ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা নিতে সক্ষম হন সালমা।

অন্যদিকে, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের এনেস্থিসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন, যিনি ডা. সোহানার স্বামী, তার বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর ভাষ্য, তিনি মেডিকেল কলেজ বা সদর হাসপাতালে অপারেশনে অংশ না নিলেও প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে এনেস্থিসিয়া দেন।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সদর হাসপাতালের এক কর্মচারী মাসুদকে মাসিক টাকা দিয়ে তাদের হাজিরা ম্যানেজ করা হয়।

এই বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী সালমা আক্তার। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদনে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সংযুক্ত হিসেবে তিনি বহির্বিভাগের টিকিট কপি এবং প্রেসক্রিপশন প্যাডের কপিও জমা দিয়েছেন।

এসইউজে/এমএসএম

Read Entire Article