স্বেচ্ছাশ্রমে বিএনপির সড়ক সংস্কার, ১৫ গ্রামের মানুষের মুখে হাসি

প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। তাদের কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে টুকরি। কেউ জমি থেকে মাটি কাটছে, আবার টুকরি ভর্তি মাটি ভাঙা সড়কে ফেলে লাঠি ও ইট দিয়ে পিষে সেগুলো সমান করছেন।  মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে গ্রামের একটি ভাঙা কাঁচা সড়ক চলাচল উপযোগী করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রামগোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুর পৌর শহর থেকে রামগোপালপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কটির রামগোপাপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধ কিলোমিটার অংশ এখনো কাঁচা। শুকনো মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে জলকাদায় একাকার হয়ে যায় সড়কটি। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন গ্রামের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে গ্রামের কোনো রোগী অসুস্থ হলে এই সড়ক হয়ে নিতে গিয়ে রোগীর অবস্থা আরও মুমূর্ষু হয়ে যেত। তাই আসন্ন বর্ষাকালকে মাথায় রেখে বেহাল ভাঙাচোরা সড়কটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় বিএ

স্বেচ্ছাশ্রমে বিএনপির সড়ক সংস্কার, ১৫ গ্রামের মানুষের মুখে হাসি

প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। তাদের কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে টুকরি। কেউ জমি থেকে মাটি কাটছে, আবার টুকরি ভর্তি মাটি ভাঙা সড়কে ফেলে লাঠি ও ইট দিয়ে পিষে সেগুলো সমান করছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে গ্রামের একটি ভাঙা কাঁচা সড়ক চলাচল উপযোগী করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রামগোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুর পৌর শহর থেকে রামগোপালপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কটির রামগোপাপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধ কিলোমিটার অংশ এখনো কাঁচা। শুকনো মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে জলকাদায় একাকার হয়ে যায় সড়কটি। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন গ্রামের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে গ্রামের কোনো রোগী অসুস্থ হলে এই সড়ক হয়ে নিতে গিয়ে রোগীর অবস্থা আরও মুমূর্ষু হয়ে যেত। তাই আসন্ন বর্ষাকালকে মাথায় রেখে বেহাল ভাঙাচোরা সড়কটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় বিএনপি।

এদিন দুপুরে বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মাটি কেটে ভাঙাচোরা সড়কটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেন। পরে তাদের দেখে সড়ক সংস্কার কাজে এসে যোগদান করেন গ্রামের বাসিন্দারাও। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সন্ধ্যার আগেই সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এদিকে সড়ক সংস্কার হওয়ায় গুজিখা, রামগোপালপুর, তেরোশিরা, গাওরামগোপালপুর, নওয়াগাঁও, তেরোশিরা, কলতাপাড়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

সাবেক ইউপি সদস্য খসরু পারভেজ রাজীব বলেন, ‘এই সড়কটির দুই পাশে পাকা মাঝখানে অর্ধকিলোমিটার কাঁচা। আর কাঁচা অংশের ভাঙাচোরা ও বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই এখানে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটত। আজকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কটি সংস্কার করায় প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।’

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইনের নির্দেশনায় বর্ষাকালকে সামনে রেখে উপজেলার বেহাল কাঁচা সড়কগুলো স্বেচ্ছাশ্রমের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে রামগোপালপুর ইউনিয়নের অর্ধকিলোমিটার বেহাল সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে চলাচল উপযোগী করে দিয়েছি। পাশাপাশি সরকারিভাবে সড়কটি দ্রুত পাকাকরণের দাবিও জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, রামগোপালপুর ইউনিয়নে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা কাঁচা সড়কটি খোঁজ নিয়ে সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পাকাকরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow