চার-ছক্কার বৃষ্টি, উড়ন্ত ব্যাটিং আর নিখুঁত বোলিং—সব মিলিয়ে মংককের মিশন রোড মাঠে যেন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উৎসব! কুয়েতকে ৪৩ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো হংকং সিক্সেসের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান।
হংকংয়ের মংককে রোববার ফাইনালে ব্যাট হাতে নেমেই ঝড় তুলল পাকিস্তান। ওপেনার আব্দুল সামাদের ব্যাটে শুরু হয় ছক্কার আতশবাজি। কুয়েতের ইয়াসিন প্যাটেলের প্রথম ওভারেই তিনটি ওয়াইড আর এক বিশাল ছক্কায় ২৬ রান তুলে নেয় পাকিস্তান।
এরপর নাফায়ের ব্যাটে যোগ হয় আরও দুটি ছক্কা ও দুটি চার—মাত্র ১.৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান! তবে মিট ভাভসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নাফায় (২২) ফিরলে খানিকটা চাপ আসে। কিন্তু সেই চাপ গলে যায় অধিনায়ক আব্বাস আফ্রিদির ব্যাটে—পিঠেপিঠি দুটি ছক্কা হংকংয়ের আকাশে উড়ে যায়।
তৃতীয় ওভারে সামাদ আবার আগুন ঝরান—এক চার ও এক ছক্কায় দল পেরিয়ে যায় ৫০। এরপর চতুর্থ ওভারে তিনটি টানা ছক্কায় স্কোর দাঁড়ায় ৯৫। অবশেষে ভাভসারের বলে ১৩ বলে ৪২ রান করে সামাদ আউট হন, যেখানে ছিল ২ চার ও ৫ ছক্কা।
শেষের তাণ্ডবটা আসে আফ্রিদির ব্যাট থেকে। মাত্র ১১ বলে ৫২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস, যেখানে ছিল ৭ ছক্কা আর ২ চার! ৬ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ থামে ১৩৬ রানে—সিক্সেস ক্রিকেটে এক প্রলয়ঙ্করী স্কোর।
এদিকে কুয়েত তাদের ওপেনার আদনান ইদ্রিসের ব্যাটে প্রথম ওভারেই আনে ৩২ রান—দুটি ছক্কা, এক ওয়াইড থেকে ছক্কা, পাকিস্তান তখন খানিকটা চাপে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ শহজাদের শিকার হন ইদ্রিস (৮ বলে ৩০, ৫ ছক্কা)।
এরপর বিলাল তাহির এক ছক্কা মারলেও টিকতে পারেননি। মিট ভাভসার একপাশে চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের তরুণ পেসার মাআজ সদাকাতের নিখুঁত বোলিংয়ে ভেঙে পড়ে কুয়েতের ব্যাটিং। এক ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে তিনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন পাকিস্তানের পক্ষে।
শেষ ওভারে ৪৪ রানের লক্ষ্য তখন অসম্ভবের কাছাকাছি। আফ্রিদি ও সামাদের যৌথ প্রচেষ্টায় কুয়েত গুটিয়ে যায় ৯২ রানে।
শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানের বিশাল জয় পাকিস্তানের—আরও একবার হংকং সিক্সেসের রাজা তারা।

3 hours ago
4









English (US) ·