হলুদ রঙের চায়না কমলায় ভরে গেছে শিক্ষকের বাগান

1 day ago 5

ছোট ছোট গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ কমলা শোভা পাচ্ছে। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়েছে মাটিতে। এ যেন অন্যরকম দৃশ্য। বাড়ির আঙিনায় চায়না জাতের কমলার বাগান করে বাজিমাত করেছেন শিক্ষক খলিলুর রহমান। এ দৃশ্য দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা পশ্চিম সারডুবী গ্রামে সমতল ভূমিতে চায়না জাতের কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন খলিলুর রহমান। তার কমলা বাগান দেখতে প্রতিদিনই পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন নানা বয়সী মানুষ। চায়না কমলার পাশাপাশি নাগপুরি, দার্জিলিং, চায়না থ্রি জাতের কমলা গাছও আছে।

শিক্ষক খলিলুর রহমান উপজেলার মিলন বাজার মোজাম্মেল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি নিবিড় মমতায় কমলা চাষে নজির স্থাপন করেছেন। যা এলাকার মানুষকে প্রেরণা জোগাচ্ছে। তার বাগান দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে কমলা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

jagonews

জানা গেছে, ২০১১ সালে ১ বিঘা জমিতে দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান শুরু করেন। ৪ বছর পর ১৫২টি গাছে ফল আসে। এরপর ২০২০ সালে প্রায় ১ একর জমিতে চায়না জাতের ৪০০ কমলা গাছের বাগান তৈরি করেন। ৩ বছর পর ২০২৪ সালের শেষ দিকে প্রতিটি গাছে আশানুরূপ ফল এসেছে। বর্তমানে কমলার রং হলুদ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত বাজারে কমলা বিক্রি করেছেন প্রায় লক্ষাধিক টাকার। জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

আব্দুল করিমের বাগানে হলুদ মাল্টার হাসি 
২২ লাখ টাকার বরই বিক্রির আশা দীপ্তিময়ের 

কমলা বাগানে ঘুরতে আসা সাগর মিয়া বলেন, ‘বাগানটি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। কমলাও খেয়েছি। অনেক সুস্বাদু। এমন প্রত্যন্ত এলাকায় কমলা বাগান সবাইকে মুগ্ধ করেছে। নিজ দেশে কমলা বাগান গর্বের বিষয়।’

স্থানীয় বাজেট মিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ কমলা বাগান দেখতে আসেন। অনেকেই কমলা কিনে খাচ্ছেন। প্রতিটি গাছে প্রচুর কমলা ধরেছে।’

jagonews

শিক্ষক তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলা বাগান করেছেন, তা দেখতে এসেছি। ভুটানের মতোই গাছগুলোতে কমলা ধরেছে। খেতেও সুস্বাদু।’

শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘কমলা বাগান করার ৩ বছর পর প্রচুর কমলা ধরেছে। আমার স্ত্রী ফাতেমা মজুমদার বাগানের পরম যত্ন করেছেন। এ বছর আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বাগান থেকে কমলার চারাও বিক্রি হচ্ছে। সবাই কমলা বাগান করলে ফলের চাহিদা পূরণ হবে।’

হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘কমলা বাগানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বাগানে প্রচুর ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষককে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

এসইউ/

Read Entire Article