ড. হাছান মাহমুদকে নিয়ে ৭৭টি ব্যাংক হিসাবের কথা উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার আইনজীবী জি. এম. কাদের আলী শাহ্।
প্রতিবাদে তিনি বলেছেন, দুদকের বরাতে ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্য ও কোম্পানির ৭৭টি ব্যাংক হিসাবের কথা বলা হলেও তা মোটেও সঠিক নয়। তার নিজের মাত্র ২টি ব্যাংক হিসাব থাকলেও প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে ৬টি ব্যাংক হিসাবের কথা। একইভাবে তার কন্যার ১টি ব্যাংক হিসাব থাকলেও বলা হয়েছে ৬টি ব্যাংক হিসাবের কথা। তার স্ত্রী ও কোম্পানি সমূহের ব্যাংক হিসাবের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাও একেবারেই সঠিক নয়। ড. হাছান মাহমুদ এর ব্যাংক হিসেবে তার বেতন-ভাতাদি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে লেকচার দেওয়া বাবদ যে Honorarium পেয়েছেন তা জমা আছে।
জি. এম. কাদের আলী শাহ্ বলেছেন, ড. হাছান মাহমুদ এমপি কিংবা মন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকেই বিছমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের দেনা প্রায় ২৬-২৭ কোটি টাকা। একটি ফিশিং ট্রলারের বিপরীতে তার কোম্পানির দেনার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। ব্যাংকের দেনা শোধ করার জন্য কিছুদিন পূর্বে ফিশিং ট্রলারটি কোম্পানি বিক্রি করে দেয়। দেনা পরিশোধকল্পে সেই টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। কোম্পানির হিসাবে রক্ষিত টাকা কখনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এ ছাড়া যে পরিমাণ টাকা রক্ষিত আছে বলা হয়েছে তাও সঠিক নয় । বিভিন্ন একাউন্টে যে পরিমাণ লেনদেনের কথা বলা হয়েছে তাও অত্যন্ত অতিরঞ্জিত এবং যেকোনো চালু ব্যবসায় বৈধ লেনদেন হওয়াই স্বাভাবিক, না হওয়াটা বরং অস্বাভাবিক। তাদের কোম্পানি সমূহ দীর্ঘ ২৩/২৪ বছর যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
প্রতিবাদে এই আইনজীবী আরও বলেছেন, আমার মক্কেল মনে করেন তাকে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদেরকে হয়রানি ও মানহানির উদ্দেশে দুদককে নগ্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার মক্কেলের ক্ষেত্রে দুদক আদালতে যাওয়ার পূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ ছড়িয়ে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়। সঠিক তদন্ত হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে যা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। আমার মক্কেলের কোম্পানি সমূহের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকার কারণে তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকশত কর্মচারী কয়েক মাস যাবত বেকার হয়ে পড়েছে এবং মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমার মক্কেল মনে করেন তার ও পরিবারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে মানহানিকর। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকল্পে দুদক কখনো রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হওয়া সমীচীন নয়।