হাজিদের সেবায় উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পাকিস্তান। দেশটি হাজিদের খরচ থেকে বেঁচে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের ধর্মবিষয়কমন্ত্রী চৌধুরী সালেক হুসাইন বলেন, গত বছর যেসব হাজিরা হজ পালন করেছেন তাদের ২০ হাজার রুপি থেকে এক লাখ ৪০ হাজার রুপি পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমি জাতির সঙ্গে একটি সুসংবাদ ভাগাভাগি করতে চাই। গতবছর যেসব হাজি হজ পালন করেছেন তাদের আমরা টাকা ফেরত দিচ্ছি। ২০ হাজার থেকে এক লাখ ৪০ হাজার রুপি পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হবে। এ ছাড়া এবছরও হাজিদের জন্য সর্বোত্তম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। তবে এবার হজের খরচ বাড়েনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের অনুমোদন করা হজ প্যাকেজ বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জানান, কিছু হজযাত্রীকে এক লাখ ৪০ হাজার রুপি আবার কিছু হাজি ২০ হাজার টাকা ফেরত পাবেন। তিনি বলেন, তিন শতাংশ হাজি এক লাখ ৪০ হাজার, ২৩ শতাংশ যাত্রীকে ৭৫ হাজার রুপি ও তিন হাজার হজযাত্রীকে ৫০ হাজার রুপি ফেরত দেওয়া হবে। এছাড়া চলতি বছরের হজের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে অর্থ বেঁচে গেলে তাও ফেরত দেওয়া হবে।
কিনি জানান, এ বছরও গত বছরের প্রায় সমান সংখ্যক লোক হজের জন্য আবেদন করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর হজের প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ লাখ ৭৫ হাজার রুপি। চলতি বছর তা কমিয়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার রুপিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক হার ও ডলারের বিনিময় মূল্যের তুলনায় সবচেয়ে সাশ্রয়ীয় প্যাকেজ।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হয়েছে। ফলে কোনো অতিরিক্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে না। এ সময় তিনি সৌদি আরবের হজমন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেনঅ। তিনি বলেন, অন্য কোনও দেশ হজ ব্যবস্থার জন্য এত ব্যাপক সহায়তা পায়নি।