হাজিরা দিতে এসে নিহত হলেন মামুন 

3 hours ago 5

রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে দুজন দুর্বৃত্ত মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের শ্যালক জানান, তারিক সাইফ মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত বছর এই মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

নিহত মামুনের স্ত্রী রিপা আক্তার জানান, আমার স্বামী বিএনপি সমর্থিত এক সদস্য ও পাশাপাশি ব্যবসা করত। আজ তার কোর্টে হাজিরা ছিল। আমরা জানতে পাই, আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছে হাসপাতালে আছেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

তিনি আরও জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর জেলা মোবারকপুর কলোনি এলাকার এস এম ইকবাল হোসেনের সন্তান বর্তমানে, বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় বাসায় থাকতাম। আমার দুই কন্যাসন্তান রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার বলেন, হাসপাতালের কাছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা একজনকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসকরা বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিসি ফুটেজে দেখা যায়, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটের সামনে মানুষ আসা-যাওয়া করছে। হঠাৎ একজন ব্যক্তি দৌড়াতে দৌড়াতে পড়ে যান। এমন সময় পেছন থেকে দুজন ব্যক্তিকে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করতে দেখা যায়। দূর থেকে একজন গুলি করেন। পরে অস্ত্র হাতে ওই দুজনই পড়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছে এসে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এরপর দ্রুত তারা স্থান ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নিরাপত্তা কর্মী বলেন, আমরা হাসপাতালের ভেতরের দিকে ছিলাম। দুর্বৃত্তরা একজনকে ধাওয়া করতে করতে হাসপাতালের গেটে এলে প্রথমে পায়ে গুলি করে। পরে তাকে আবার কয়েকটি গুলি করে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি জানান, আমি দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। সেখান থেকে গুলির আওয়াজ শুনে বাইরে আসি। তখন দেখি একজন পড়ে আছে। তার বুক থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।

Read Entire Article