২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন চলাকালীন ১৬ জুলাই হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী হিসেবে ৭৯ জনের নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু হাসান স্বাক্ষরিত এ তালিকা প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই এ ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার দাবি করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেয় তারা।
ঘটনার এক বছর পর অবশেষে ‘ক’ ও ‘খ’ দুই ক্যাটাগরিতে ৭৯ জনের নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘ক’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৪১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর স্বশন্ত্র হামলা, অস্ত্র সরবরাহ এবং স্বশস্ত্র মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে ‘খ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৩৮ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করা এবং মিছিলে অংশগ্রহণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই ক্যাটাগরিতে থাকা অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে।
তবে কোটা এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা কয়েকজনের নামও সেই তালিকায় এসেছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককেই। তবে নিরপরাধ কোনো শিক্ষার্থীর নাম হামলাকারীর তালিকায় চলে আসলে তার নাম বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের নাম নিয়ে যাদের সমস্যা বা যারা মনে করছে সে নিরপরাধ থাকার পরও নাম চলে এসেছে, তারা লিখিতভাবে আমাদের জানালে অবশ্যই আমরা পুনঃনিরীক্ষণ করে ব্যবস্থা নেব।’