হাসপাতাল-ফার্মাসিউটিক্যাল সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে

1 week ago 12

দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সরকারি নিয়ন্ত্রণ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ-২০২৫’ এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, এ দেশ সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রিত। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডি-রেগুলেটেড করার। অনেকের হয়তো নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু ডি-রেগুলেটেড ও স্বাধীনতা দিতে আমরা এগোচ্ছি। বেসরকারি খাতের যে হাসপাতাল, ক্লিনিক আছে, তাদের স্বনিয়ন্ত্রণের সুযোগ করে দিন। এটি সারা দুনিয়ায় আছে। সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে না। শুধু বাংলাদেশে এমনটি হয়।

তিনি বলেন, এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের স্বনিয়ন্ত্রণের দিকে যেতে হবে। বাংলাদেশে যেখানে যত বেশি নিয়ন্ত্রণ, সেখানে তত বেশি দুর্নীতি। এ নিয়ন্ত্রণ আনা হয় দুর্নীতির জন্য।

আরও পড়ুন

এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা (বিএনপি) সেলফ রেগুলেশনের দিকে যাচ্ছি। আপনাদের অনুরোধ করবো পূর্ব প্রস্তুতি নেন। সেজন্য যে সক্ষমতার দরকার সেটা তৈরি করুন। মনে রাখতে হবে, প্রচলিত বিনিয়োগ নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থেকে বের হতে হবে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ রাখা হবে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, প্রাথমিক ও প্রতিষেধক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা (বিএনপি) একটি স্বাস্থ্য নীতি নিয়ে আসছি। আগামীতে এ খাতে জিডিপির ৫ শতাংশের ওপরে ব্যয় করা হবে। মানুষকে বিনামূল্যে প্রাথমিক ও প্রতিষেধক সেবা দিতে পারলে সামাজিক সুরক্ষায় খরচ কমে যাবে। একজন মানুষ যদি তার পরিবারের খরচ কমাতে পারে তাহলে তার জীবনব্যবস্থা, জীবন নির্বাহ সহজ হবে। আমরা হিসাব করেই সে নীতি নিতে যাচ্ছি।

স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে দেশেই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার অগ্রগতির লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ-২০২৫’। ‘উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সমৃদ্ধ দেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্মেলনটির আয়োজন করেছে বণিক বার্তা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

এনএইচ/ইএ/এমএস

Read Entire Article