ক্ষমতার পালা বদলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ চার বছর পর হোয়াইট হাউসের দরজায় পা রাখলেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী বিদায়ী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যান নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এ সময় দুই নেতার মধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পর ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম ব্যাক’ বলে শুভেচ্ছা জানান বাইডেন। শপথ গ্রহণের দুই মাস আগে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে দুই নেতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ট্রাম্প অঞ্চলটি সম্পর্কে বাইডেনের পরিকল্পনা জানতে চান। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে কোন অবস্থান আছে এবং বাইডেন মার্কিন অবস্থান নিয়ে কী ভাবছেন এসব কিছু ট্রাম্পকে জানান।
ট্রাম্প জানান, আলোচনার সময় বাইডেন খুব বিনয়ী ছিলেন। এ সময় দুজনেই পারস্পরিক সাক্ষাৎ বেশ উপভোগ করেছেন বলেও জানান রিপাবলিকান এ নেতা।
সাক্ষাৎকালে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান বাইডেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। কারণ একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল ইউরোপ আমেরিকাকে যুদ্ধে টেনে আনা থেকে রক্ষা করবে।
সাক্ষাতে রাজনৈতিক পৃথিবী সুন্দর নয় বলে মন্তব্য করেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে সাক্ষাতের সময়টিকে সুন্দর বলতে ভুল করেননি উগ্র জাতীয়তাবাদী রিপাবলিকান এ নেতা।
ট্রাম্পের সঙ্গে তার স্ত্রী মেলেনিয়া ট্রাম্পকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল হোয়াইট হাউসে। স্বামীদের পারস্পরিক এ সাক্ষাৎকালে ফার্স্ট লেডি তার উত্তরসূরিকে চা দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত মেলেনিয়া হোয়াইট হাউসে না যাওয়ায় ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করা হয়নি।
জিল ও মেলেনিয়ার সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ২০২০ সালে ট্রাম্পের পরাজয়ের পর ঐতিহ্যগত এ সাক্ষাতের আয়োজন করেননি তৎকালীন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি সে সময় জিল বাইডেনের সঙ্গেও দেখা করেননি ফার্স্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প। এ ছাড়া ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ফার্স্ট লেডির প্রথাগত দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করতেও দেখা যায়নি মেলেনিয়াকে।