ময়মনসিংহে সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তবে মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। মুরগি ও গরুর মাংস স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে চায়না গাজর, টমেটো ও চিকন বেগুনের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা। সপ্তাহ চায়না গাজর ও টমেটো ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ১০০ টাকা, চিকন বেগুন ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিমের দাম কমেছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহ সিম ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঝিঙে, করলা, কাঁকরোল ও ধুন্দলের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।
এখন ঝিঙে ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা ও ধুন্দল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত অবস্থায় চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, কচুর মুখি ৩০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে কাঁচামরিচ ও শসার দাম৷ কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ ও শসা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারে মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজারে কালবাউশ ৩৩০-৩৯০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০-২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০-২৯০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪১০ টাকা, পাঙাশ ২১০-২৪০ টাকা, মৃগেল ২৭০-৩২০ টাকা, রুই ৩১০-৪১০ টাকা, শিং ৩৩০-৬২০ টাকা, কৈ ২৪০-৩৩০ টাকা, পাবদা ৩৭০-৪৯০ টাকা, শোল ৫৯০-৮৭০ টাকা, ট্যাংরা ৫৩০-৮৫০ টাকা ও টাকি ৪১০-৫৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত অবস্থায় ব্রয়লার মুরগির ১৬০ টাকা, কক মুরগি ৩০০ টাকা, গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে, ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালিতে, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা খায়রুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ধরে সবজির দাম বাড়ছে। তবে এখন দাম কমেছে। বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিং করলে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাছ কিনতে আসেন মাসুদ মিয়া বলেন, মাছের দাম হু হু করে বাড়ছে। অথচ বাজারে মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। মাছের দাম বেশি থাকার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফলে পাইকারিতে দাম কমেছে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। বাজারে সবজি কেনাবেচা জমজমাট।
মাছ বিক্রেতা ওয়াকিল হোসেন বলেন, আড়তে মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আমরা বাধ্য হয়ে কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছি। আমরা খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করছি না।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, অসাধু বিক্রেতাদের কাজই হচ্ছে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দেওয়া। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। বাজারে অভিযান চালানো হবে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/জেআইএম