৪ দাবিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

4 hours ago 4

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শূন্য থাকা আসনগুলো পূরণে দ্বিতীয় দফা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে আব্দুল্লাহ আসিফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৬০০-এর বেশি আসন খালি রয়েছে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য বড় হুমকি। দেশের জনসংখ্যা ও চিকিৎসা সেবার ঘাটতি পূরণে প্রতিটি আসনের পেছনে রাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। এত মেধাবী শিক্ষার্থী আগ্রহী থাকা সত্ত্বেও কেন এই আসনগুলো ফাঁকা থাকবে, সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তিনবার এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দুইবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ফলে শূন্য আসন পূরণে পুনঃভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ একটি নিয়মিত রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তারা অভিযোগ করেন, ২৫ মে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিল যে, আসন ফাঁকা থাকলে দ্বিতীয় দফায় সার্কুলার দেওয়া হবে। কিন্তু এখন ‘পোর্টাল বন্ধ’ হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সেই আশ্বাস ভঙ্গ করা হচ্ছে। তারা প্রশ্ন তোলেন, পোর্টাল কি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ? মানবিকতার চেয়ে প্রযুক্তিগত অজুহাতই কি বড় হয়ে উঠছে?

তারা বলছেন, আমরা নিজেদের খরচে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, যেখানে সরকারের কোনো ভর্তুকির প্রয়োজন নেই। তবুও আমাদের সুযোগ আটকে রাখা হচ্ছে। শূন্য আসন পূরণের দাবিতে আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে বারবার স্মারকলিপি দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো গত ১৫ জুন শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে ডিজিএমই-এর জনবল ও তাদের আশ্রয়প্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচার চাই।

শিক্ষার্থীরা বলেন, যে সরকার ছাত্রদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে আছে, তারা এখন ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মানতে নারাজ। ভর্তি সার্কুলারে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পূরণ না হলে দেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে পূরণের কথা থাকলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। এটা স্পষ্ট বৈষম্য বলে উল্লেখ করেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার দাবি হলো-

১. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শূন্য আসন পূরণে অবিলম্বে দ্বিতীয় দফা ভর্তি সার্কুলার প্রকাশ করতে হবে।

২. ২৫ মে-এর আগের দেওয়া সরকারি মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. ‘পোর্টাল বন্ধ’ অজুহাত তুলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস না করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে তা পুনরায় খুলতে হবে।

৪. ১৫ জুনের হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেআর/কেএইচকে/এএসএম

Read Entire Article