৪০ কোটি টাকায় দেড়শ বছরের সিআরবি ভবন সংস্কারের উদ্যোগ

2 weeks ago 11

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে একটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রাথমিক হিসাবে ধারণা করা হচ্ছে, পুরো সংস্কার কাজের ব্যয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার টাইগারপাস সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত দেড়শ বছরেরও পুরোনো এ ভবনটি বর্তমানে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্থাপত্যশৈলীতে অনন্য এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৮৭২ সালে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাচীন এ ভবনটির অনেক অংশ এখন একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে ভবনের ভেতরে ওপর থেকে নিচে পানি গড়িয়ে যায়। ঝুঁকি এড়াতে দ্বিতীয়তলার বেশকিছু জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক এ ভবনটি সংস্কার করার সময় স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণ্ন রাখা হবে। এজন্য নিয়োগপ্রাপ্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চলতি মাসের শেষ দিকে ঢাকার রেল ভবনে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবে। এরপর তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে, আর সেই ভিত্তিতেই শুরু হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া। পুরো সংস্কার শেষে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ স্থাপত্যের ধারা ঠিক রেখে কাজ করা হবে। যে অবস্থায় ভবনটি আছে, সেটিকে অপরিবর্তিত রেখেই সংস্কার করা হবে। এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। তারা আগামী সপ্তাহে রেল ভবনে প্রেজেন্টেশন দেবে এবং আগামী মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হবে, টেন্ডার আহ্বান করা হবে এবং পুরো সংস্কারে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন কালবেলাকে বলেন, এ মাসের শেষ দিকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রেজেন্টেশনের পর আশা করা যায় তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপরই সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে। তবে স্থাপত্যশৈলীতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসবে না।

Read Entire Article