৬ মাস ধরে নারীকে বাসায় আটকে ধর্ষণ করেন নোবেল

3 months ago 8

রাজধানীর ডেমরা থানায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে (৩১) গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, নোবেলের ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে এসে আটক রাখে। পরে নোবেল ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ভেঙে ফেলে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর করে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ১৯ মে পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে নোবেলের বাসায় আটকে রাখা হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

সোমবার দিনগত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ডেমরা থানাধীন স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর পরিচয় হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে মাঝে মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে মোহাম্মদপুর গিয়ে দেখা করেন এবং তার ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর উদ্দেশ্যে বাসায় নিয়ে যান। এরপর আরও ২ থেকে ৩ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের জনের সহায়তায় বাসায় আটক রাখা হয় মেয়েটিকে।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ঘটনার সময়ে নোবেল ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ভেঙে ফেলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর করে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের ভুক্তভোগীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে।

৯৯৯ এর কলের সাপেক্ষে ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়।

মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

টিটি/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article