অলিম্পিকের প্রতিযোগীদের টক্কর দিচ্ছে ৯ বছরের শিশু
শৈশবের গণ্ডি এখনো পেরুয়নি। এ বয়সে খেলার কথা পুতুল নিয়ে। কিন্তু পুতুল নয়; খেলছে আন্তর্জাতিক মানের খেলা নিয়ে। বয়স মাত্র ৯ বছর। কিন্তু অবলীলায় তুলে ফেলছেন ৪০-৫০ কেজি। অলিম্পিকে ভারোত্তলনের যে ক্যাটাগরি রয়েছে, এই বয়সেই তা করে দেখাচ্ছেন কানাডার এই শিশু। এত অল্প বয়সে, ভারি ওজন তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে সে।
অদম্য নেশা আর গায়ের শক্তি অন্যদের চেয়ে বেশি। তাই ভারোত্তলনের খেলায় নাম লিখেয়েছে অরোরা রোরি ভান উলফট। অটোয়ার বাসিন্দা এই শিশুর নাম যেমন অনন্য, এই অল্প বয়সে খেলা হিসেবেও অনন্য কিছুই বেছে নিয়েছে সে। খুব অল্প বয়স থেকেই ঝোঁক ছিল জিমনেসটিকসের প্রতি। তাই পায়ের জোর বাড়াতে ভারোত্তলন শুরু করে রোরি।
স্ন্যাচের জন্য এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৩ কেজি ওজন তুলেছে কানাডিয়ান এই শিশু। আর ক্লিন অ্যান্ড জার্কের জন্য সর্বোচ্চ ৫৬ কেজি ভারোত্তলন করেছে সে। পরিবার, শিক্ষক ও কোচের সহায়তায় মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে রোরির ভারোত্তলনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। কিন্তু এত অল্প বয়সে ভারোত্তলনে মেয়েকে ঠেলে দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে রোরির পরিবার।
অবশ্য সমালোচনায়ও দমে যাচ্ছে না রোরির মা। তার মা লিন্ডসের ভাষায়, ভারোত্তলন প্রশিক্ষণ যে বাস্তবে শিশুদের জন্য খুব ভালো তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে। আর রোরি তো এর জীবন্ত প্রমাণ। অবশ্য ভারোত্তলনের পাশাপাশি হোমওয়ার্ক এবং জিমনেসটিক্সের জন্যও প্রশিক্ষণ নিতে হয় রোরিকে। এতকিছুর মাঝে রোরি তার ছোট ভাইকে সময়ও দিতে পারে না।
রোরির কোচ বলছিলেন, তিনি আগেও শিশুদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এভাবেই রোরির সঙ্গেও জোটবদ্ধ হয়েছেন তিনি। যদিও ৫ বছর বয়সী কোনো শিশুর সঙ্গে আগে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল না রোরির কোচের। কিন্তু সেই রোরিকেই ৪ বছর ধরে কোচিং করে যাচ্ছেন। রোরির জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন তার কোচ।
দুপুরের খাবারের বিরতিতে হোমওয়ার্ক করে রোরি। সপ্তাহে তিন দিন জিমন্যাস্টিকস করে। আর দুই দিন ব্যয় করে ভারোত্তলনে। এরপর সপ্তাহান্তে সময় পেলে ব্যায়াম করে রোরি। এভাবে পুরো সপ্তাহজুড়ে জিমন্যাস্টিকস, ভারোত্তলন ও পড়াশোনার মধ্যেই সময় কেটে যায় ছোট্ট শিশুটির।