আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে সব দলের সঙ্গেই কথা বলেছি

3 months ago 64

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ‘সর্বজনীন স্বীকৃত’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এ বিষয়টি সবাই গ্রহণ করেছে, ইউনিভার্সালি অ্যাকসেপ্টেড। দু’একটি দল-মতে ভিন্নতা থাকতে পারে। সেটা কোনো বিষয় নয়। নিষিদ্ধের বিষয় নিয়ে আমরা সব দলের সঙ্গেই কথা বলেছি।

প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ লুট করেছে, খুন-গুম করেছে। সাড়ে তিন হাজার মানুষ গুম হয়েছেন। ধরে নিয়ে আয়নাঘরে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাচ্চারাও মুক্তি পায়নি। তারা মানুষের সব অধিকার খর্ব করেছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এটা তাদের নিষিদ্ধ হওয়ার বড় কারণ।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৯ মাসে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলেও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দাবিতে তড়িঘড়ি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, তারা কী পরিমানে খুন-গুম করেছে। নিষিদ্ধের জন্য বিশ্বজুড়ে সাপোর্ট ছিল। এ সিদ্ধান্তের পরে পুরো দেশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। এটা সব দলের সঙ্গে কথা বলেই করা হয়েছে।

১৪ দল কিংবা জাতীয় পার্টির মতো দলগুলো নিষিদ্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কিন্তু আওয়ামী লীগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ সুস্পষ্ট রয়েছে। অন্য দলগুলোর ভূমিকা সেভাবে আসেনি। হত্যা-গুম সবকিছু শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সুস্পষ্টভাবে দায়ী।

শফিকুল আলম বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ যে কী পরিমান লুটপাট করেছে সেটা আপনারা জানেন। একটি কোম্পানি ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। একজন কবিতা পাঠ করেন ওই দলের, তিনিও ফামার্স ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। এভাবে দেশের বিশাল সম্পদ লুট হয়েছে।

এনএইচ/এএমএ/এএসএম

Read Entire Article