চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাদের শ্যোন অ্যারেস্টের আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিরা হলেন- সুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, সনু মেথর, রুমিত দাশ ও দুর্লভ দাশ।
পুলিশের শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের হাজতখানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের প্রবেশ মুখ থেকে চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এসময় আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান কালবেলাকে জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মামলায় ৯ জন আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। তিনি লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
গত ২৯ নভেম্বর আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।