ইসরায়েলি সেনাদের কাছে তিন জিম্মিকে হস্তান্তর

2 hours ago 3

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া তিন জিম্মিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে হস্তান্তর করেছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা রেড ক্রস। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামারি এবং দরোন স্ট্রেইব্রেচার। 

রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সংবাদ সংস্থা টাইমস অব ইসরায়েল।

মুক্তি পাওয়া তিন জিম্মিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, রেড ক্রস তাদের এলিট বাহিনীর কাছে জিম্মিদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

৪৭১ দিন পর ঘরে ফেরা
এই তিন ইসরায়েলি নাগরিক ৪৭১ দিন পর মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকেও জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, ইসরায়েল সরকার এ তিন নাগরিককে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের এ খবর জানানো হয়েছে। ইসরায়েল সরকার সব বন্দি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯ জানুয়ারি তিন জিম্মিকে মুক্তির মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস প্রথম দিনেই রেড ক্রসের মাধ্যমে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করে। মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের বুঝে পাওয়ার পর রেড ক্রস তাদের ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয়।

এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। দলে দলে মানুষ তাদের ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছে। তবে যুদ্ধবিরতির মাঝেও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার সারায়া স্কোয়ারে হামাসের কাসাম ব্রিগেডের সদস্যদের জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে। সেখানে রেড ক্রসের গাড়ি তিন জিম্মিকে নিয়ে আসার সময় উপস্থিত ছিল।

যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে গাজায় স্বস্তি ফিরে এলেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে সেখানে পুনর্গঠনের বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থাকলেও উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের মতো মানবিক পদক্ষেপ আশা জাগাচ্ছে।

Read Entire Article