উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বকে মুগ্ধ করছেন তরুণরা

3 hours ago 5

বিশ্বের ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ এখন এমন এক নতুন প্রজন্মের হাতে, যারা নিজেদের উদ্ভাবনী চিন্তা, ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিবর্তনের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা দিয়ে দুনিয়ায় দারুণ প্রভাব ফেলছে। ৩০ বছরের নিচের তরুণ উদ্যোক্তারা গঠন করছে ভবিষ্যতের শিল্পখাত, মোকাবিলা করছে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, আর অনেক ক্ষেত্রে সাহসী ও নতুন ভাবনায় ছাড়িয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক নেতাদের।

গত এক দশকে দেখা গেছে, পুরোনো ব্যবসায়িক মডেলগুলো ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে, আর তার জায়গা নিচ্ছে নতুন চিন্তার তরুণ উদ্যোক্তারা। তারা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করছে, ব্যবসার কাঠামো উন্নত করছে এবং সর্বোপরি বুঝতে পারছে এক বৈশ্বিক বাজারের চাহিদা — যা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি টেকসই ও নৈতিকতার বিষয়ে সচেতন।

এই তরুণ উদ্যোক্তারা ডিজিটাল যুগের নেতৃত্ব দিচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নমনীয় মনোভাব নিয়ে, যা তাদের পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে এবং নতুন ধারা তৈরি করতে সাহায্য করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সবুজ অর্থনীতি এবং ফিনটেকের মতো খাতে দক্ষতার কারণে তারা এমন নেতৃত্বের অবস্থান নিয়েছে, যা একসময় শুধু বড় ও প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।

স্পেনভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম ইএনইবি বিশ্বে সামনের সারিতে থাকা ৩০ তরুণ উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। যার মধ্য থেকে শীর্ষ ১০ জনের পরিচয় তুলে ধরা হলো।

১. অ্যালেক্সান্দ্র ওয়াং (২৮ স্কেল এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষস্থানীয় একজন উদ্যোক্তা।

২. বেন পাস্টারনাক (২৪)। তিনি ফ্লোগ নামের সামাজিক শপিং অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা।

৩. মালালা ইউসুফজাই (২৭)। তিনি মালালা ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা; বিশ্বজুড়ে মেয়েদের শিক্ষার জন্য লড়ছেন।

৪. বামম্বল অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হুইটনি উলফ হার্ড (২৯)। যিনি অনলাইন ডেটিংয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন করছেন।

৫. রিহানা ফেন্টি (২৬)। তিনি ফেন্টি বিউটির প্রতিষ্ঠাতা। যিনি প্রসাধনী জগতে সৌন্দর্যের প্রচলিত মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

৬. লুমিনার টেকনোলজিজের সিইও অস্টিন রাসেল (২৮)। স্বচালিত গাড়ির প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন এনেছেন তিনি।

৭.মি অ্যান্ড দ্য বিস লেমনডির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাস্থ্যকর পানীয় শিল্পে তরুণ উদ্যোক্তা মিকাইলা উলমার (১৯)।

৮. লিয়া বাস্ক (২৯)। তিনি টাস্কর্যাবিট-এর প্রতিষ্ঠাতা। যিনি দৈনন্দিন কাজ সহজ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন।

৯. এমিলি ওয়েইস (২৯)। তিনি গ্লোসিয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা। যিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক সৌন্দর্যপণ্যে বিপ্লব এনেছেন।

১০. ফেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা নাদিয়া মাসরি (২৭)। তিনি টেকসই ফ্যাশন শিল্পে পরিবর্তন এনেছেন।

সূত্র: ইএনইবি

এমএসএম

Read Entire Article