দুর্গাপূজার আগে নজিরবিহীন বৃষ্টি কলকাতায়। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতার অলিগলি। যার ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফল বিক্রেতা, দৈনিক যাত্রী, সাধারণ পথচারী। কারও মৃত্যু হয়েছে খোলা বিদ্যুৎ তারে হাত লেগে, কারও আবার বিদ্যুতের খুঁটির সংস্পর্শে এসে।
প্রথম মৃত্যুর খবর আসে দক্ষিণ কলকাতা থেকে। সেখানে জলমগ্ন রাস্তায় পড়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লাগাতেই মৃত্যু হয় এক ফল বিক্রেতার। একই ভাবে কালিকাপুর মোড়ের কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান পঞ্চাশ বছরের সঞ্জয় মন্ডল নামে এক ব্যক্তির।
কলকাতার গড়িয়াহাটের বালিগঞ্জ প্লেস ইকবালপুরের হোসেন শাহ রোডে ও বেনিয়া থেকেও উদ্ধার হয়েছে মরদেহ। চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে সংলগ্ন জলাবদ্ধ এলাকায় এক অজ্ঞাত পরিচিয় যুবকের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে।
এই মৃত্যুর জন্য বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, এর দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই তারা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামাক। এখানে ব্যবসা করছে। তার পরিকাঠামো আধুনিকরণের কাজ করছে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা সিএসসি-র কাছে দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি এমন বৃষ্টি কখনো দেখিনি। শুনেছি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাত-আট জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এত মানুষ প্রাণ হারালে এটা দুর্ভাগ্যজন। সিইএসসিকে তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। আমি এটা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি। আমরাও দেখছি কতটা কি করা যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে ও আরোও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের প্রাদেশিক কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত।
ডিডি/এমএসএম