এমন সংবিধানের স্বপ্ন দেখি যেখানে আর কোনো বোনকে কাঁদতে হবে না

3 hours ago 4

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এমন একটি সংবিধানের স্বপ্ন দেখি যে সংবিধানে আর কোনো মা-বোনকে স্বামী-সন্তানের জন্য রাতে অপেক্ষা করতে না হয়। কোনো মা-বোনকে যেন তাহাজ্জুদে বসে কাঁদতে না হয়। আর কোনো কার্টুনিস্টকে জেলে মরতে না হয়।’

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ সেমিনারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সাংবিধানিকভাবে এমন একটি জায়গায় যেতে চাই যেখানে সব শহীদদের রক্তের মূল্য দেওয়া হবে। এ স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। আমরা রাষ্ট্রকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মাধ্যমে গড়ে তুলবো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছে, ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এবং গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিচারে শহীদ হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষ বিনাদোষে রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হয়েছে যার ৯৯ শতাংশ মামলার বাদী ছিল পুলিশ। আপনারা গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন এক বছরে একটাও গুম হয়নি। জুলাই ও ৭১ একই চেতনার সঙ্গে সংযুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩০ হাজার মানুষকে গুম করেছে। আমরা এ অপরাধের বিচার করতে যাচ্ছি। এ অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় যারাই অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব এ নীতি প্রতিষ্ঠায় যত বাধা বিপত্তি আসুক সব মোকাবেলা করবো। জুলাইয়ে শহীদদের রক্তের দাম অবশ্যই রাখা হবে। আমি জুলাই চেতনাকে ধারণ করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবো।

এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি রাবি উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো সুশিক্ষা। শ্রেষ্ঠতম সংবিধান অনেক খারাপ কাজ আটকে দিতে পারে কিন্তু একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করতে পারে না। ২৪ এর জুলাই আগস্ট আমাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। নতুন চিন্তাকে ধারণ করতে হলে আমাদের পুরাতন ধারা থেকে বেড়িয়ে আসবে।’

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article