ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজে ফরিদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ফরিদপুর জেলার শিক্ষার্থীসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর রমজানের তাৎপর্য, আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব এবং নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, রমজান শুধু উপবাস থাকার মাস নয়, এটি আত্মসংযম, ধৈর্য এবং সৎপথে চলার শিক্ষা দেয়। ইসলামিক শিক্ষার আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও আত্মসংযমের চর্চা করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, ইফতার মাহফিল শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে। কলেজের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক সুলতান সুলায়মান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরফান আহমেদ ফাহিম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ , ক্রিয়া সম্পাদক বোরহান উদ্দীন খান সৈকত। কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শাহজালাল সরদার। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর জেলার ছাত্রকল্যানের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রায়হান।
প্রধান বক্তা ইরফান আহমেদ ফাহিম তার বক্তব্যে বলেন, রমজান শুধু উপবাস থাকার মাস নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, সংযম এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইফতার মাহফিল শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে যুবসমাজকে নৈতিক শিক্ষায় উজ্জীবিত করতে হলে ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে হবে। ইফতার মাহফিলের মতো উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদসহ সকল ছাত্র সংগঠনকে এ ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কলেজের ধর্মীয় শিক্ষার এক শিক্ষক। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়। পরে উপস্থিত সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন, যা সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে। তারা মনে করেন, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক দৃঢ় করতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।