কোরবানির পশুর ওলানে দুধ থাকলে করণীয়

3 months ago 8

কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরবানি করতে বলেছেন ‘বাহিমাতুল আনআম’ বা হিংস্র নয় এমন গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু। আল্লাহ বলেন, আমি প্রত্যেক জাতির জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি। রিজিক হিসেবে তাদের যেসব ‘বাহিমাতুল আনআম’ দিয়েছি সেগুলোর ওপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। (সুরা হজ: ৩৪)

তাই কোরবানি করতে হয় ছয় ধরনের গবাদি পশু দিয়ে। সেগুলো হলো, উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এ সব পশুর নর ও মাদা দুটোই কোরবানি করা যায়। অর্থাৎ ষাড় যেমন কোরবানি করা যায়, গাভীও কোরবানি করা যায়। নর ছাগল ও ভেড়ার পাশাপাশি মাদি ছাগল ও ভেড়াও কোরবানি করা যায়।

কোরবানির জন্য গাভী বা মাদি ছাগল বা ভেড়া কেনার পর যদি দেখা যায় সেগুলোর ওলানে দুধ আছে, তাহলে কোরবানি দাতা, তার পরিবার ও সম্পদশালী আত্মীয়-স্বজন ওই দুধ পান করবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয়, তাহলে দুধ ওলানেই রেখে দেবে, দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে যেন দুধের চাপ কমে যায়।

আর যদি দুধ দোহন না করা পশুর জন্য কষ্টকর হয়, তাহলে তা দোহন করে দরিদ্রদের সদকা করে দিতে হবে। কোরবানিদাতা, তার পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন ওই দুধ পান করবে না যেমন ওপরে বলা হয়েছে। কেউ পান করে ফেললে ওই দুধের মূল্য সদকা করে দেবে।

কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে।

উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।

উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।

ওএফএফ/এএসএম

Read Entire Article