খুলনায় নাগালে সবজি, চালে অস্বস্তি

22 hours ago 6

খুলনার বাজারে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে সবজির দাম। মুদি পণ্য ও চালের বাজার রয়েছে অপরিবর্তিত। মুদি পণ্যের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে মুদি পণ্যের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে। তবে চালের দাম নিয়ে অস্বস্তিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) খুলনার গল্লামারি, মিস্ত্রিপাড়া, খালিশপুর, নতুন বাজার ও নিউ মার্কেট বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়, মুলা ৩০ টাকা, বেগুনের আকার ভেদে ৩০-৪০ টাকায়, শিম প্রকারভেদে ৩০-৪০ টাকায়, লালশাক, পালং ও কলমি শাক ২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। টমেটো ৪০ টাকা ও গাঁজর ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

খুলনায় নাগালে সবজি, চালে অস্বস্তি

আলু আকারভেদে ২৫-৩০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, দেশি রসুন ২২০ টাকা ও ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে।

মুদি বাজার ঘুরে জানা যায়, মুদি পণ্যের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে।

মাংসের বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রয় হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে, সোনালি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকায়। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা যায়, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকায়, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা কেজি, সিলভার কাপ মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫০০-৬৫০, পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি রুই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, পাঙাশ ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছ ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

খুলনায় নাগালে সবজি, চালে অস্বস্তি

চালের বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজিতে, নাজিরশাইল ৮২-৮৬ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫৫-৬০ টাকা, পুরাতন আটাশ ৬২-৬৫ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাও চাল ১৫০ টাকা ও খোলা পোলাও চাল ১২০-১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা কালাম মিয়া বলেন, কোন শাক-সবজির দাম বাড়েনি। আগের মতোই আছে। এবার অনেক সবজির ফলন হয়েছে। পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার অনেক সময় ৫-১০ টাকা দাম কমে বাড়ে।

গল্লামারি বাজারের মাছ বিক্রেতা সুবেদ আলী বলেন, মোকামে মাছের দাম বেশি। আমাদের বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এজন্য খুচরা বাজারে মাছের দাম একটু বেশি।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন বন্ধু ব্যাচেলর বাসায় থাকি। বাজারে এসে দেখছি চালের দাম অনেক বেশি। তবে সবজির দাম কমেছে। মাছের দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।

খুলনায় নাগালে সবজি, চালে অস্বস্তি

নতুন বাজারে আসা হেলেনা খাতুন বলেন, শাক-সবজি, আলু পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমেছে। চালের দাম এখনো কমেনি। মুরগির দাম আগের মতোই রয়েছে। সোনালী মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে কিনেছি।

খালিশপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী আজগার হোসেন জানান, চালের দাম এখনো কমেনি। সব জায়গাতেই চালের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির কারনে চাল মজুদ করতে পারছি না। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ চাল কম ক্রয় করছেন। আমরা খুচরা ব্যবসায়ী। সীমিত দামে চাল বিক্রয় করি।

মো.আরিফুর রহমান/এফএ/এমএস

Read Entire Article