গরুর দুধ সহ্য হয় না? গাছও হতে পারে দুধের উৎস

2 weeks ago 12

বাংলাদেশে দুধ মানেই গরুর দুধ। সকালের নাশতা থেকে শুরু করে চা–কফি কিংবা মিষ্টির দোকান—সবখানেই গরুর দুধের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এক ভিন্ন ধরনের দুধ — প্ল্যান্ট বেজড্ মিল্ক বা উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে পাওয়া দুধ।

নামটা নতুন লাগলেও আমাদের রান্নাঘরে কিন্তু প্ল্যান্ট মিল্ক নতুন কিছু নয়। নারকেলের দুধ দিয়ে মাছ রান্না বা পোলাও আমরা বহুদিন ধরেই খেয়ে আসছি। বাদাম ভিজিয়ে মিহি করে বানানো দুধও ব্যবহার হয় কিছু বিশেষ খাবারে। শুধু আন্তর্জাতিক বাজারে এ দুধগুলো এখন আলাদা বোতলে বিক্রি হচ্ছে ‘ডেইরি মিল্ক’ এর বিকল্প হিসেবে।

তাই পেটে যদি গরুর দুধ না সয়, আজ (২২ আগস্ট) বিশ্ব প্ল্যান্ট মিল্ক দিবসে জেনে নিন দুধের জনপ্রিয় কয়েকটি বিকল্প-

১. নারকেলের দুধ

এটি আমাদের সবচেয়ে পরিচিত প্ল্যান্ট মিল্ক। এটি ঘন, সুগন্ধি এবং রান্নায় আলাদা স্বাদ যোগ করে। নারকেলের দুধে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা শরীরকে শক্তি দেয়।

২. আমন্ড মিল্ক

এটি কাঠবাদামের দুধ, যা এখন বিদেশে অনেক জনপ্রিয়। এটি হালকা, কম ক্যালরিযুক্ত এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ। যাদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি রয়েছে তাদের জন্য এটি ভালো বিকল্প।

৩. সয় মিল্ক

সয় মিল্ক তৈরি হয় সয়াবিন থেকে। এতে থাকে প্রোটিন, আয়রন ও পটাশিয়াম। যারা ভেগান জীবনধারা অনুসরণ করেন বা গরুর দুধ খান না, তাদের জন্য সয় মিল্ক অন্যতম সেরা বিকল্প।

৪. ওট মিল্ক

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি তৈরি হয় ওটস বা যব ভিজিয়ে রেখে। ওট মিল্ক ফাইবারে ভরপুর, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।

যাদের জন্য এগুলো বিশেষ উপকারী

অনেকেই আছেন যারা গরুর দুধ খেলে পেট ফাঁপা, ব্যথা বা হজমের সমস্যা অনুভব করেন। একে বলা হয় ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স। এ ধরনের মানুষের জন্য প্ল্যান্ট মিল্ক হতে পারে নিরাপদ বিকল্প। কারণ এসব দুধে ল্যাক্টোজ থাকে না।

স্বাস্থ্য ও পরিবেশ -- দুই দিক থেকেই প্ল্যান্ট মিল্ক নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। এসব দুধে সাধারণত কম ক্যালরি, কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এবং অনেকক্ষেত্রে ভিটামিন-খনিজ দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে পরিবেশের জন্যও এটি কিছুটা টেকসই বিকল্প।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্ল্যান্ট মিল্ক হয়তো এখনও আমাদের দেশে খুব পরিচিত নয়। কিন্তু নারকেলের দুধ কিংবা বাদামের দুধের মাধ্যমে আমরা আসলে অনেক আগে থেকেই এর স্বাদ চিনি।

সূত্র: হার্ভার্ড টি. এইচ. চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই), সায়েন্টিফিক আমেরিকান

এএমপি/এমএস

Read Entire Article