গাজায় আসতে যাওয়া ‘সমুদ ফ্লোটিলার’ নৌবহরে হামলা 

7 hours ago 4
তিউনিশিয়ার জলসীমায় ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে দ্য গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা ফর গাজার বহরে থাকা প্রধান নৌকাটি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নৌকাটিতে থাকা ছয়জন যাত্রী এবং ক্রু নিরাপদ আছেন। খবর রয়টার্স  গ্লোবার সমুদ ফ্লোটিলা (জিএসএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পর্তুগালের পতাকাবাহী নৌকাটিতে ফ্লোটিলার নেতৃত্বদানকারী কমিটির সদস্যদের বহন করা হয়েছিল। হামলার ফলে নৌকাটির প্রধান ডেক এবং স্টোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র মোজাইক এম রেডিওকে জানিয়েছে, ফ্লোটিলার নৌবহরে হামলা চালানোর বিষয়টির কোনো সত্যতা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে নৌকার ভেতর থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।  আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ফ্লোটিলা ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সমুদ্রপথ পাড়ি দিচ্ছে। রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হামলা পর অনেক মানুষ তিউনিশিয়ার সিদি বো সাঈদ বন্দরে জড়ো হন। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান দেয়। ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ২০০৭ সালে গাজা দখলে নেওয়ার পর ইসরায়েল গাজার উপকূলে নৌবহরের ওপর অবরোধ আরোপ করে। তাদের আশঙ্কা জাহাজে করে সমুদ্র পথ দিয়ে গাজায় অস্ত্র প্রবেশ করতে পারে।  ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়ার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে তেল আবিব। এতে গাজা উপকূলে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হলেও সমুদ্র উপকূলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়নি।  গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে গ্লোবার হাংগার মনিটর হানিয়েছে, গাজা উপত্যকার কিছু অঞ্চল দুর্ভিক্ষ কবলিত হয়ে পড়েছে।  জিএসএফ জানিয়েছে, নৌবহারে হামলার ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করা হবে। এতে আরও বলা হয়, আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে পিছু হটানো সম্ভব হবে না। গাজার অবরোধ ভাঙার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিশন অব্যাহত থাকবে
Read Entire Article