চলন্ত ট্রেনে নামাজে যেভাবে কিবলামুখী হবেন

4 hours ago 2

প্রশ্ন: চলন্ত ট্রেনে নামাজ আদায়ের সময় কিবলামুখী হবো কীভাবে? নামাজের মধ্যে কিবলা ঘুরে গেলে কী করবো?

উত্তর: চলন্ত ট্রেনে নামাজে দাঁড়ানোর সময় কিবলার দিক নিশ্চিত হয়ে সেদিকে ফিরে দাঁড়াবেন। ট্রেন ঘুরে যাওয়ার কারণে কিবলার দিক পবির্তন হয়েছে বুঝতে পারলে নামাজের ভেতরই কিবলার দিকে ঘুরে যাবে। কিবলার দিক পরিবর্তন হয়েছে বোঝার পরও কিবলার দিকে না ঘুরলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। ওই নামাজ আবার পড়তে হবে।

তবে যদি শুরুতে কিবলার দিক নিশ্চিত হয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ান এরপর নামাজের ভেতর কিবলা পরিবর্তন হয়েছে বুঝতে না পারেন এবং ওই দিকে ফিরেই নামাজ শেষ করেন, তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।

চলন্ত ট্রেনে ফরজ নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করতে হবে

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তে ১৭ রাকাত নামাজ আদায় করা ফরজ। ইশার নামাজের পর তিন রাকাত বেতর আদায় করা ওয়াজিব। এ নামাজগুলো দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরজ। কোনো গ্রহণযোগ্য ওজর ছাড়া ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করা যাবে না।

আমাদের দেশের ট্রেনে সাধারণত নামাজ ঘর থাকে। চলন্ত ট্রেনে নামাজ ঘরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা সম্ভব হলে ফরজ নামাজ বসে আদায় করা জায়েজ হবে না। প্রয়োজনে কিছু ধরে দাঁড়ানো যেতে পারে। নামাজে স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হলে কোনো কিছুর ওপর ভর করে বা কিছু ধরে দাঁড়ানো জায়েজ। যদি কিছু ধরেও নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব হয়, তাহলে বসে নামাজ পড়া জায়েজ হবে।

নফল ও সুন্নাত নামাজ কোনো ওজর বা অসুবিধা ছাড়াও বসে আদায় করা জায়েজ। চলন্ত ট্রেনেও এ নামাজগুলো বসে আদায় করা যাবে। তবে ওজর ছাড়া বসে নামাজ আদায় করলে দাঁড়িয়ে আদায়কৃত নামাজের অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায়। ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বসে নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তবে তাই উত্তম। আর বসে নামাজ আদায় করলে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যাবে। (সহিহ বুখারি: ১১১৫)

ওএফএফ

Read Entire Article