ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

13 hours ago 12

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এক পল্লী চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টায় উপজেলার বারবাকিয়া বাজার এলাকায় পল্লী চিকিৎসক মো. ইলিয়াসের মালিকানাধীন ফার্মেসিতে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক মো. ইলিয়াসের কান্নাকাটির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।

ভিডিওতে মো. ইলিয়াস বলেন, বারবাকিয়া বাজার ইজারার টেন্ডার জমা দেন তিনি। সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় তিনি বাজার ইজারাদার মনোনিত হওয়ার ক্ষোভে তাকে মারধর করেন ছাত্রদলের ওই নেতা।

মো. ইলিয়াস জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১১ মার্চ বিকেল ৩টায় পেকুয়া উপজেলা হাট বাজার ইজারা দরপত্র খোলার দিন ছিল। নির্ধারিত সময়ে দরপত্র খোলা হলে বারবাকিয়া বাজারের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি মনোনিত হলে আগামী ১ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন। এতে ছাত্রদলের ওই নেতা ইজারা ভাগিয়ে নিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে বারবাকিয়া বাজারে এসে দলবল নিয়ে হামলা চালায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, ইলিয়াস নামে একজনকে মারধরের অভিযোগের ভিডিও ফেসবুকে দেখেছি। এ বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার সঙ্গে কারো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার ধারণা আমার প্রতিপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। 

বারবাকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাস্টার ইউনুস বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো ইলিয়াস হাট বাজার ইজারা নিতে পার্টনার রাখার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বারবাকিয়া বাজার ইজারাপ্রাপ্ত হলে ওই সব লোকজনদের পার্টনার রাখতে অস্বীকার করায় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে। এতে ছাত্রদলের কেউ জড়িত নেই।  

তিনি আরও বলেন, ইলিয়াস টইটং বাজার ইজারা নিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাজার ইজারার পার্টনার রাখার কথা বলে। মূলত টইটং বাজার ইজারা না পাওয়ায় তার পার্টনাররাই ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে বিএনপি বা ছাত্রদলের কেউ জড়িত না।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ইলিয়াস নামে এক পল্লী চিকিৎসক পেকুয়া থানায় এসে মারধরের মৌখিক অভিযোগ করেন। পুলিশ থাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article